তারুণ্যের শক্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব

প্রথম পাতা » জাতীয় » তারুণ্যের শক্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব
বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮



---॥ মো:তৈয়বুর রহমান ॥।। ভোলাবাণী।।টেকসই বিনিয়োগ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দলটি এবার তারুণ্যের শক্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

আগামী ৫ বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ কর্ম সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজনের নিয়মিত রোজগার নিশ্চিতের ঘোষণা এসেছে এ ইশতেহারে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০০৮ সালের ‘দিনবদলের সনদ’, ২০১৪ সালের ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ এর পর আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। প্রতিটি ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দলীয় অবস্থান, গত দশ বছরের অর্জন এবং আগামী দিনের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা দিয়ে সাজানো হয়েছে ৮০ পৃষ্ঠার এ ইশতেহার।

---এর শুরুতেই আওয়ামী লীগের ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হলো প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ; তরুণ- যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা; দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স; নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশু কল্যাণ; পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা; সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূল; মেগা প্রজেক্টগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন; গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা; দারিদ্র্য নির্মূল; সব স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি; সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি; মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা; সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার; বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা; আধুনিক কৃষিব্যবস্থার লক্ষ্য যান্ত্রিকীকরণ; দক্ষ ও সেবামুখী জনপ্রশাসন; জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা; ব্লু-ইকোনমি-সমুদ্রসম্পদ উন্নয়ন; নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা; প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও অটিজম কল্যাণ; টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন।

ক্ষমতায় গেলে যা যা করা হবে

দেশের উন্নয়নের জন্য ৩৫টি খাতের পৃথক পরিকল্পনা ও লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে ইশতেহারে। প্রথম অনুচ্ছেদ ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও কার্যকর সংসদ’-এ বলা বলা হয়েছেÑ বিগত ১০ বছরে জাতীয় সংসদই ছিল রাষ্ট্রীয় সব কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দু। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা হবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ দলিল হবে সংবিধান।

‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষা’কে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে। আগামীতে সরকার গঠন করলে প্রত্যেক নাগরিকের আইনের আশ্রয় ও সাহায্য-সহায়তা লাভের সুযোগ-সুবিধা অবারিত করা হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি সর্বজনীন মানবাধিকার সুনিশ্চিত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের চেষ্টা প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

‘দক্ষ সেবামুখী ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন’ এর লক্ষ্যে প্রশাসনের সর্বস্তরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং জনসেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবে আওয়ামী লীগ। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করা হবে। উপসচিব পদমর্যাদা পর্যন্ত সামরিক ও অসামরিক সব কর্মকর্তা গাড়ি কেনার জন্য এককালীন ৩০ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ পাবেন এবং পরিচালনা বাবদ মাসিক ৫০ হাজার টাকা পাবেন। ‘জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলা’র লক্ষ্যে আগামী ৫ বছরে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে জনবল নিয়োগ করা হবে।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি’ অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে ইশতেহারে। দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ জোরদার করা হবে। ঘুষ, অনুপার্জিত আয়, কালো টাকা, চাঁদাবাজি, ঋণখেলাপি, টেন্ডারবাজি ও পেশিশক্তি প্রতিরোধ এবং দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও মাদক নির্মূল’ এর লক্ষ্যে জিরো টলারেন্সের বর্তমান দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে আগামীতেও। সন্ত্রাসী-গডফাদারদের এবং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। সন্ত্রাস-দুর্নীতিবাজ, দখল, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বন্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে।

আগামী ৫ বছরে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীতের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ৫ হাজার ৪৭৯ ডলারেরও বেশি এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

‘আমার গ্রাম - আমার শহর’ অর্থাৎ প্রতিটি গ্রামে শহরের মতো আধুনিক নগর সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী ৫ বছরে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে, পাকা সড়কের মাধ্যমে সব গ্রাম জেলা/উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। ছেলেমেয়েদের উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি করা হবে। সুপেয় পানি ও উন্নতমানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে গ্রামপর্যায় পর্যন্ত।

প্রতি উপজেলায় ‘যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ স্থাপনের পাশাপাশি ‘যুব বিনোদন কেন্দ্র’ এবং প্রতি জেলায় ‘যুব স্পোর্টস কমপ্লেক্স’ গড়া হবে। আগামী ৫ বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ কর্মসৃজনের পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের। প্রতি উপজেলা থেকে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার যুবক-যুবতীকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ।

শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত করবে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এতে প্রায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে সিঙ্গাপুরের আদলে আধুনিক শিল্পনগরী এবং প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আইটি শিল্পপার্ক হবে। নারী শ্রমিকরা ৪ মাসের বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। শ্রমিক, হতদরিদ্র ও গ্রামীণ ভূমিহীন ক্ষেতমজুরদের জন্য রেশন প্রথা চালু হবে।

প্রতি উপজেলায় টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হবে। শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ নিশ্চিত করবে। সব গ্রামে, আধা মফস্বল শহরে ও শহরের নিম্নবিত্তের স্কুলগুলোয় স্কুল ফিডিং চালু হবে। নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে প্রয়োজনীয় বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেডসহ শিক্ষা খাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে বৈষম্য রয়েছে তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিরসন করা হবে।

বিভাগীয় শহরগুলোয় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলা হয়েছে ইশতেহারে। গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকদের সংখ্যা ও সেবার মান বৃদ্ধি এবং উপস্থিতি নিশ্চিত করবে আওয়ামী লীগ। ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু, একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা হবে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস করবে না। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির যেসব ধারা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি, সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

‘স্থানীয় সরকার : জনগণের ক্ষমতায়ন’ শক্তিশালী করার লক্ষ্যে চলমান প্রক্রিয়া আগামীতেও অব্যাহত রাখবে দলটি। স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হবে।

‘নারীর ক্ষমতায়ন’ আরও বেগবান করতে প্রশাসন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে নারীদের অধিকসংখ্যক নিয়োগের নীতি আরও জোরদার করবে আওয়ামী লীগ। নারীর প্রতি সব বৈষম্যমূলক আচরণ/প্রথা বিলোপের পাশাপাশি বাল্যবিবাহ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। নারী-পুরুষের সমান মজুরি নিশ্চিত হবে। কর্মজীবী নারীদের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ স্থাপন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও উদ্বুদ্ধ করা হবে।

ভিক্ষাবৃত্তি ও ভবঘুরেপনা দূর করার পাশপাশি দারিদ্র্যসীমা ১২.৩ ও চরম দারিদ্র্যের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। বর্তমানে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় ৪ কোটি ৯২ লাখ মানুষ বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন। আগামী ৫ বছরে এ সংখ্যা দ্বিগুণ এবং সবার ভাতা বাড়ানো হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিধি আরও বৃদ্ধি করে সবার জন্য বাসস্থানের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে ইশতেহারে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সফল ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষি উপকরণের ওপর ভর্তুকি অব্যাহত রাখা ও কৃষি যন্ত্রপাতি সুলভ করবে। কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করবে। কৃষি গবেষণায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা আরও প্রসারিত করতে আগামীতে ই-পাসপোর্ট ও ই-ভিসা চালু করবে আওয়ামী লীগ। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসংগত পর্যায়ে নামিয়ে আনবে। ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ৫-জি চালুরও প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইশতেহারে।

দেশের সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা, ইতিহাস বিকৃতি রোধ এবং প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বিশেষ কার্যক্রম নেওয়া হবে। সারাদেশে বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিতকরণ, শহীদদের নাম-পরিচয় সংগ্রহ এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে’ বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।

জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন গঠন ও সাংবাদিকদের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্প গ্রহণ করবে আওয়ামী লীগ। সশস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার যে নীতি রয়েছে দলটির তা অব্যাহত রাখা হবে। বাংলাদেশের ভূখ- ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ চর্চা করতে দেবে না আওয়ামী লীগ। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুরু হওয়া ১০টি মেগা প্রজেক্ট পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল, মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন স্থাপন কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে আগামীতে এগুলো সম্পন্নের কথা বলা হয়েছে ইশতেহারে। ২১০০ সাল নাগাদ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সমন্বয়ের যোগসূত্র সৃষ্টি করবে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ (ডেল্টা প্ল্যান ২১০০)। শতবর্ষ মেয়াদি এ পরিকল্পনার আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় আওয়ামী লীগ।

ইশতেহারের একেবারে শেষে বলা হয়েছে, “আসুন আমরা সবাই মিলে এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি যেখানে মানুষের মৌলিক সব চাহিদা পূরণ নিশ্চিত হবে, গড়ে উঠবে সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, নিশ্চিত হবে সামাজিক ন্যায়বিচার, যার যার ধর্ম পালনে স্বাধীনতা ও সম-অধিকার, নারীর অধিকার ও সুযোগের সমতা, তরুণদের শ্রম ও মেধার সৃজনশীল বিকাশ, আইনের শাসন, মানবাধিকার, সুশাসন, শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূরীকরণ, দূষণমুক্ত পরিবেশ। গড়ে উঠবে এক অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বিজ্ঞানমনস্ক উদার গণতান্ত্রিক কল্যাণ-রাষ্ট্র।”

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে আওয়ামী লীগের শাসনামলের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরা হয় তথ্যচিত্রের মাধ্যমে। ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাকের স্বাগত বক্তব্যের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর পর মঞ্চে এসে ইশতেহার ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৫:৩৩   ৩৭৮ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জাতীয়’র আরও খবর


কাউকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না : প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট ব্যবসায়ীসহ গ্রাহকবিদ্যুত বিহীন মনপুরা ॥ তীব্রতাপদাহে ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ
আজ পহেলা বৈশাখ
সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে , ভোটের চিন্তা থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে : প্রধানমন্ত্রী
১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ

আর্কাইভ