বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ভোলাবাণী ।।
ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা লঞ্চঘাটের বৈধ ইজারাদাদের উপর হামলা চালিয়ে, মারধর করে ইজারাদারদের হটিয়ে দিয়ে ঘাট দখল করে সরকারের রাজস্ব হাতিয়ে নেয়া বাহিনীর দায়ের করা মামলায় শেষ পর্যন্ত বৈধ ইজারাদাররের ৩ ভাইসহ ৫জনের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠায় আদালত। এদের মধ্যে রয়েছেন , তার চাচাত ভাই পশ্চিম ইলিশা আওয়ামী লীগ নেতা বশির আহম্মেদ, মোঃ বাবুল ও মোঃ আলাউদ্দিন।
ঘাট ইজারাদার সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান শাহীন জানান, ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট বৈধ টেন্ডারের মাধ্যমে ৩১ জুলাই থেকে ২৮ আগষ্ট পর্যন্ত এক মাসের জন্য তাকে ইজারা দেন বিআইডব্লিউটিএ। ইজারার কয়েকদিন পরেই হঠাৎ করে সিরাজুল ইসলাম ঘাট তার দাবি করে লোজক দিয়ে হামলা চালিয়ে, তার (শাহীনের) স্টাফদের মাথা ফাটিয়ে দিয়ে উৎখাত করে ঘাট দখল নেয়। এমনকি তার ভাই আকতার, চাচাত ৩ ভাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। এমনকি গত এক মাস ৫ দিন ওই বাহিনী সরকারের রাজস্ব আদায় করে তা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে চলেছে। ঘাট ছেড়ে দেয়া ও উদ্ধারের জন্য বিআইডব্লিউটিএ থেকে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশ সুপার, থানার ওসি’কে চিঠি দেয়া হলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। শাহীন আরো অভিযোগ করেন, যাারা হামলা চালালো। তারাই ফের মামলা দিয়ে তার লোকজনকে হয়রানী করে। ওই মামলায়ই আদালত ৫ জনের জামিন বাতিল করে। এরা প্রথমে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেয়। শনিবার পর্যন্ত আাগাম জামিন শেষে গতকাল রোববার এরা ভোলার চিপ জুডিশিয়াল কোর্টে হাজির হয়ে ফের জামিন প্রার্থনা করেন।
অপরদিকে ঘাট নিয়ন্ত্রনে রাখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক সরোয়াদ্দি মাস্টার জানান, আকতারের লোকজনই তাদের উপর হামলা চালিয়েছিল। সিরাজুল ইসলামের নামে ওই ঘাট ইজারা নেয়া ছিল। সরোয়াদ্দি মাস্টার এ কথা বললেও বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, ওই ঘাট কখনই সিরাজুল ইসলামের নামে ইজারা ছিল না। ছিল সুহানা এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটর মিজানুর রহমানের নামে।
বাংলাদেশ সময়: ৬:৫৫:৫৮ ২৩১ বার পঠিত |