রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৭

লালমোহনের নাজিরপুর লঞ্চ টার্মিনালের বেহাল দশা,যাত্রীদের দূর্ভোগ।

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » লালমোহনের নাজিরপুর লঞ্চ টার্মিনালের বেহাল দশা,যাত্রীদের দূর্ভোগ।
রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৭



---মোঃ আমজাদ হোসেন ।।ভোলাবাণী।। লালমোহন প্রতিনিধি:

ভোলার লালমোহন উপজেলার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রধান লঞ্চ টার্মিনালের রূগ্ন অবস্হা দিন দিন বেড়েই চলেছে।ফলে প্রতিদিনই লালমোহন-ঢাকা গামী বা ঢাকা - লালমোহন গামী লঞ্চে যাতায়াত কারী যাত্রীয়ের দুর্ভোগের সীমার শেষ নেই।এখানে যাত্রীদের জন্য দৃষ্টি নন্দন সিঁড়ি করার দুই থেকে তিন মাসের পরেই ভেঙে গেছে।সরেজমিনে টার্মিনালের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণে দেখা যায় পল্টুনের সিঁড়ি নেই,দুই পাশে দুটি কাঠ ফেলে যাত্রীদের পল্টুনে উঠানো নামানোর ব্যবস্হা করা হয়েছে।এ কাঠ দিয়ে শিশু কিংবা মহিলারা তো নদীতে পড়ে যাওয়ার ভয় নিয়ে উঠছেন খোঁদ পুরুষরাও নদীতে পড়ে যাচ্ছেন।কিছুদিন পূর্বে পল্টুনে উঠার সময় দেড় বছরের কোলের শিশু নিয়ে এক অর্ধ বয়স্ক মহিলা এই কাঠ থেকে নদীতে পড়ে গেছে।সেখানে উপস্থিত জনতা মহিলার আর কোলের শিশুর পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাওয়া চেয়ে চেয়ে দেখেছে উঠায়নি কেউ।অবশেষে অনেক কষ্টে মহিলার আট বছরের ছেলে কোনো মতে টেনে তীরে তুলেছেন।এছাড়াও পল্টুনের টয়লেটের অবস্থা আরও নাজুক,দরজা তো নেই এরপর উপরে ময়লার ভাগার।পল্টুনে নিয়মিত বসে নোংরা চাঁটনি এবং ডাব বিক্রয়ের সমাগম।এদের নিকট থেকে ঘাট ইজারাদার প্রতিদিন ভাড়া বাবদ জন প্রতি ৫০ টাকা করে নিয়ে থাকেন।লঞ্চে ঢাকা থেকে আসা একাধিক মহিলা যাত্রী ঘাটের এই রুগ্ন দশার জন্য হতাশা প্রকাশ করেন।ঘাট ছাড়াও নাজিরপুর থেকে লালমোহন পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা আরও দূর্বিসহ।ঘাট ইজাদারের সহকারী তসলিম ঘাটের এই অবস্থায়ও হতাশ।তিনি বলেন যাত্রীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে তা দেখলে খুবই খারাপ লাগে তবে ঘাটের এই অবস্হার কথা বিআইডব্লিওটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার বলা হলেও তাদের কোন আগ্রহ দেখছিনা।প্রতিদিনই কয়েক শত যাত্রী এই ঘাট দিয়ে ঢাকা কিংবা কালাইয়া যাতায়াত করে থাকেন।পল্টুন ভাঙার কারণে লালমোহনের ব্যবসায়ীরা এখান দিয়ে পণ্য আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছেন।এলাকাবাসী দ্রুত পল্টুনের সংস্কারের দাবী করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৫:২১   ২৬৯ বার পঠিত  |