।।ভোলাবাণী।। উজানের ঢলে সিলেটে আবারও বাড়তে শুরু করেছে বন্যার পানি। বন্যার কারণে প্লাবিত এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। তবে, এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত দু’দিন কিছুটা পানি কমলেও আজ শনিবার কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি বেড়েছে। কুশিয়ারার অমলশীদ, শেওলা, শেরপুর ও সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টে এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যদি গত কয়েকদিন ধরে সিলেট অঞ্চলে তেমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে না।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, দু’দিন পানি কমতে দেখা গেছে। তবে, তা খুম ধীর গতিতে ছিল। শুক্রবার বিকেল থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। সিলেট অঞ্চলে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও উজান থেকে নেমে আসা পানি বন্যার কারণ হিসেবে মনে করছেন তিনি।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত স্বস্তিতে আছি। এখনও বন্যাজনিত কোন রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়নি। তবে, বন্যা উপদ্রুত মানুষের সেবায় জেলায় ৭৮ টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিভিল সার্জন অফিস থেকে দু’টি অতিরিক্ত মেডিকেল সার্বক্ষণিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে মাঠে যাচ্ছে।
এদিকে, জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার ১৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের ৬টি থেকে মানুষ নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরে গেলেও আজ শনিবার ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়ার একটি কেন্দ্রে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে বন্যাকবলিত কয়েকটি পরিবার। বন্যার্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জানিয়েছেন, আগে ২৭৭ মেট্রিকটন চাল ও পাঁচলাখ ৫৫ হাজার টাকা ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এখন আরও দেড়শ’ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হচ্ছে এবং নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জেলা প্রশাসন থেকে দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও অর্থ তহবিলে রয়েছে, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে। বাসস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫২:০৭ ৩৬৬ বার পঠিত |