ভোলা বাণী : অনুযায়ি জানুয়ারী মাসের ৫,৬ ও ৭ তারিখে প্রথম বারের মতো ভোলা জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক এজতেমা। ভোলা সদর উপজেলার ঘুইংগার হাটের দক্ষিণে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের পূর্ব পাশের বিশাল ফসলি মাঠকে আঞ্চলিক ইজতেমার ময়দান হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১লা ডিসেম্বর থেকে পুরোদমে চলছে মাঠের প্রস্তুতি। যেখানে ২ লক্ষাধিক বেশি মুসল্লির মিলনমেলা হবে বলে প্রত্যাশা করছেন ভোলার তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা এখানে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের প্রায় ১০/১৫ জন মেহমান বয়ান করবেন বলে জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের মুরব্বীরা।
ভোলার তাবলীগ জামাতের মুরব্বীদের সূত্রের জানা যায়, তাবলিগ জামাতের প্রায় শতাধিক সেচ্ছাসেবি বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে বিরতিহীন ভাবে মাঠের নানা দিক প্রস্তুত করছেন।
জেলা মাকরাজ কাবিল মসজিদ সুত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সেচ্ছাসেবি এবং সংশ্লিষ্টরা মেহমান ও মুসল্লিদের জন্য তাককিল কামরা, তাঁবু, টয়লেট, পানির লাইন, ভিতরের রাস্তা এবং শব্দ যন্ত্র স্থাপনের কাজ করছেন। ইতোমধ্যে তাঁবুর জন্য প্রায় সাড়ে কয়েক হাজার বাঁশ মাঠে এসেছে। অন্যদিকে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ ৩ দিনের এ আয়োজনে মাঠে অস্থায়ী বিদ্যুৎ স্থাপনের কাজ করছেন। তাছাড়া জেলার সাধারণ মুসল্লিরা ও পাশ্ববর্তী অনেক জেলার মুসল্লি যারা ঢাকায় যেতে পারবেন না তারা অবশ্যই এখানে আসবেন। সে হিসাবে ভোলায় এ মাঠে মুসল্লির সংখ্যা ৩ লাখ ও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেন আশা করেন মুরব্বীরা ।
তাবলীগ জামাতের মুরব্বীর সূত্রের জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চার ভাগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। মুসল্লিদের স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বের ইজতেমা শুরুর পর ২০১৬ সালে এ পরিবর্তন আনা হলো। সে নিয়মানুযায়ি প্রতি বছর দেশের ৩২টি জেলার মুসল্লিদের নিয়ে টঙ্গী তুরাগ তীরে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।বাকি ৩২টি তাদের নিজ নিজ জেলায় আঞ্চলিক ভাবে এজতেমা করবে। চলতি বছরে তুরাগ তীরে এজতেমায় অংশ গ্রহনকারীরা পরের বছর নিজ নিজ জেলায় এজতেমা করবে । তবে বিদেশী মুসল্লিরা প্রতি বছর বিশ্ব এজতেমায় অংশ নিতে পারবেন। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব এজতেমা দুই ধাপে করা হয়েছে। ২০১১ সালের আগে প্রতি বছর এক ধাপে অনুষ্ঠিত হতো বিশ্ব এজতেমা।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৯:৫৫ ১৫৯ বার পঠিত |