স্টাফ রিপোর্টার ।। ভোলাবাণী: ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে ভুয়া ইজারার নামে পন্টুনে যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায় ও চাঁদাবাজির অভিযোগে অবশেষে তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিবার ঢাক থেকে আসা বিআইডব্লিউটিএ’র টিম সরেজমিনে তদন্তে সত্যতা পেয়েছে।
এদিকে তদন্ত কালে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি বাস্তবায়ন ও ভোলা স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক অমিতাভ অপুসহ ওই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও মিডিয়া কর্মীরা ,ফেরিঘাট এলাকায় সার্বক্ষনিক নৌ ট্রাফিক রাখার দাবি জানান। এবং একই সঙ্গে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সি-ট্রাক , ফেরি ও সি-সার্ভে সনদ যুক্ত নৌযান বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, বিঅঅইডব্লিউটিএ’র প্রধান দফতরের উপ-পরিচালক(প্রশাসন) মোঃ ইসমাইল হোসেন, বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক(বন্দর) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ভোলার পরিদর্শক মোঃ নাসিমসহ একটি টিম রবিবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ফেরিঘাটে নানা অনিয়মের ব্যাপারে তদন্ত করেন।
তদন্ত শেষে তদন্ত টিমের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, লঞ্চ ঘাটের ইজারা নিয়ে মোঃ ফারুক ফেরিঘাটেরও টোল আদায় করার প্রমান পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে লঞ্চ ঘাটের যাত্রীদের কাছ থেকে ৩ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও নেয়া হয় ৫ টাকা হারে। যাত্রীদের যে পন্টুনে প্রবেশ টিকেট দেয়া হয় তাতে নির্ধারিত টাকা ছাপার অক্ষরে নেই। সরেজমিনে যাত্রীরা জানান তাদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে নেয়া হয়। এমন নানা
অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে।
একই সঙ্গে ফেরিঘাটের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএর স্টাফ ইসমাইল ফেরি ঘাটের অনিয়মের বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত না জানানোর অভিযোগে তাকে ঘাট থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া অভিযুক্তদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়। অপর দিকে তদন্তকালে অভিযুক্ত ইজারাদার মোঃ ফারুক বেপারী উপস্থিত না থাকলে তার ম্যানেজার মোঃ জামাল উদ্দিন উপস্থিত থেকে অভিযোগ অস্বীকার করার চেস্টা করেন। পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করেন, না জেনে তারা এ কাজ করেছেন।
এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ট্রলারে ঝুকি নিয়ে যাত্রী বহনেরও অভিযোগ ওঠে ফারুক বেপারীর বিরুদ্ধে। উল্লেখ,ভোলা ইলিশা ফেরিঘাটে নানা অনিয়ম নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় ব্যাপক লেখা লিখির পর এ তদন্ত হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৫:৪২ ৮৩২ বার পঠিত |