ভোলাবাণী আন্তর্জাতিক ডেক্স।। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অংশে ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণ হচ্ছে। গতকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টা থেকে রোববার (৪ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গুলি ও বোমা বর্ষণ চলছে। বেশ কয়েকটি গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। তুমুল যুদ্ধাবস্থায় মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে।
এখন পর্যন্ত বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। তবে আশ্রয়প্রার্থীদের সবাই মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশ সদস্য (বিজিপি) কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, তুমুল যুদ্ধাবস্থায় ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশ সদস্যরা (বিজিপি) বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে চালানো গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রবীর চন্দ্র ধর এবং আহত একজন নারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তারা দু’জনেই হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া। গোলাগুলিতে কোনাপাড়ার কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাসরুকি জানান, গোলাগুলি ও সংঘর্ষে প্রাণহানির শঙ্কায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির বেশকিছু সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
আশ্রয় প্রার্থী বিজিপির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা বললেও এখন পর্যন্ত কতজন সদস্য আশ্রয় নিয়েছে সংখ্যাটি তিনি নিশ্চিত করেননি। তবে প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
এদিকে প্রাণভয়ে তুমব্রু সীমান্তে ৩টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এলাকা ছেলে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এরমধ্যে কোনার পাড়া, মাঝের পাড়া ও বাজার পাড়া। সীমান্ত পথে আরও ৩০ জনেরও বেশি বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা তুমব্রু সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা মিশকাতুন নবী দাখিল মাদরাসা, বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৭:৫৬ ২৯ বার পঠিত | ঘুমধুমনাইক্ষ্যংছড়িবাংলাদেশবান্দরবানবিজিপি সদস্যবোমা বর্ষণমিয়ানমারসিমান্ত
