আরিফ হোসেন।।ভোলাবাণী।।  

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাটে সুমাইয়া বেগম নামের এক নারীকে প্রকাশ্যে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই নারী দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ সেরাজল ইসলামের কন্যা বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সুমাইয়ার মা ফিরোজা বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় মামলার দায়ের করলে পুলিশ শাহিন ও ফিরোজ নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুলারহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন।

ভুক্তভোগী সুমাইয়া জানান, অভিযুক্ত নুরনবী, কবির, শাহিন, ফিরোজ, আয়শা, সাথি ও খতেজারা আত্নীয় এবং একই বাড়িতে বসবাস করেন। তাদের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা করেন তার পিতা সেরাজল ইসলাম। মঙ্গলবার ওই মামলার হাজিরা ছিল। অভিযুক্তরা মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ীতে এসে তার বাবা সেরাজলকে মারধর করেন। বাবাকে বাঁচাতে মেয়ে সুমাইয়া ছুটে আসলে তাকেও মারধর করে শাহিন ও ফিরোজ।

মারধরে সেরাজল, সুমাইয়া, মরিয়ম ও ফিরোজা গুরুত্বর আহত হয়। পরে আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার রাতে সুমাইয়ার মা ফিরোজা বাদী হয়ে ৭জনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় একটি মামলার দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ শাহিন ও ফিরোজ নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে।

সুমাইয়া আরো জানান, কে বা কারা এই মারধরের ঘটনাটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়েছে এই বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযুক্তরা পলাতক থাকার কারনে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

দুলারহাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. মুহিবুল্লাহ জানান, মঙ্গলবার রাতে মারধরের ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন সুমাইয়ার মা ফিরোজা। শাহিন ও ফিরোজ নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৫:১১   ১৫৭ বার পঠিত  |