সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি প্রত্যাখ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পাতা » জাতীয় » সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি প্রত্যাখ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী
রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭



---

ভোলাবাণী : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি আবারও প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চাকরির বয়স ৩০ বছর রয়েছে। ১৬ বছর বয়সে এসএসসি পাস করে। মাস্টার্স পাস হতে ২৩ বছর লাগে। না হয় আরও এক দুই বছর বেশি লাগে। বিএনপির আমলে সেশন জোট ছিল। আমরা তো তা কমিয়ে এনেছি। বর্তমানে সেশন জোট নাই। সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

শনিবার জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের  সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি করেন।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে দহরম- মহরম করে তাদের পাকিস্তান চলে যাওয়া ভালো। তারা চলে গেলে আমার বাবা বেহেস্তে আছেন তার আত্মা শান্তি পাবে, আমার মার আত্মা শান্তি পাবে।  সব শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।

তিনি আরও বলেন, পকিস্তানিরা এ দেশের রাস্তাঘাট চিনত না তাদের কে চিনিয়েছে? ওই রাজাকার-আলবদররা চিনিয়েছে। তারা বাঙালিদের হত্যা করেছে। নারীদের ধর্ষণ করেছে। তাদের বিচার এদেশে হচ্ছে, আগামীতেও হবে।

সংসদ নেতা বলেন, শেরপুরের একটি গ্রামের নাম সোহাগপুর, সে গ্রামের নাম হয়েছে বিধবাপুর। ওই গ্রমের মেয়েদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আলবদর-রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তাদের কাম্পে নিয়ে বাঙালি নারীদের ধর্ষণ করত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কিছু দালালা আছে  তাদের কথাশুনে আমার নিজের লজ্জা লাগে। এই দালালরা দেশের ইতিহাস বিক্রিত করে।

জেড এ খানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তার চাকরি শেষের দিকে আমার হাত দিয়ে মেজর জেনারেল হয়েছিল। তার একটি বইয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস বিক্রিত করা হয়েছে। সে বলেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নাকি  ইন্ডিয়ার ‘র’ এর একটি চক্রান্ত। আমি এ মেজর জেনারেলকে বলতে চাই। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে তিনি মেজর জেনারেল হতে পারতেন না। আমার হাতে আপনি মেজর জেনারেল হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এ দেশে এখন মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, ২৫ মার্চে এতবড় একটি গণহত্যা হয়েছে। এটা তারা অস্বীকার করে, তারা শহীদদের অস্বীকার করে। আরে ইয়াহিয়া খানই তো বলেছিলেন ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা কর, বাঙালি ঠান্ডা হবে। বাংলাদেশ কি তার কথায় ঠান্ডা হয়েছিল। বরং ইয়াহিয়া খান কঠিনভাবে এ মৃত্যুবরণ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি চায় না বাংলাদেশ ভালোভাবে চলুক। মাথা উঁচু করে দাঁড়াক এটা তারা চায় না। আমি চাই ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন হোক। আমি কিছু ফুটেজ এখানে দেখিয়েছি কিভাবে পকিস্তানিরা বাংলাদেশের উপর হামলা করেছে। এটা তো সামান্য ফুটেজ, পৃথিবীর অনেক দেশে আমাদের অনেক ফুটেজ রয়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৫:০৯   ২০৪ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জাতীয়’র আরও খবর


তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আ.লীগের মূল লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা হচ্ছে
কাউকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না : প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট ব্যবসায়ীসহ গ্রাহকবিদ্যুত বিহীন মনপুরা ॥ তীব্রতাপদাহে ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ
আজ পহেলা বৈশাখ
সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে , ভোটের চিন্তা থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে : প্রধানমন্ত্রী

আর্কাইভ