ভোলাবাণী : শাবি ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা বদরুল আলমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হামলার শিকার কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস। এ রায় যেন উচ্চ আদালতেও বহাল থাকে।
মঙ্গলবার বেলা ৩টায় মুঠোফোনে ভোলাবানীকে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় খাদিজা বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বদরুল গরু কাটার চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে। আমি এর বিচার পেয়েছি। এজন্য আদালতসহ সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
কেমন আছেন জানতে চাইলে খাদিজা বলেন, বেশ ভালো নেই। গত সোমবার থেকে প্রেসার কমে গেছে। এ কারণে সমস্যা হচ্ছে। রায়ের দিন আদালতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও শরীর ভালো নেই বলেই আসতে পারিনি।
খাদিজা বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমি আদালতকে জানিয়েছিলাম, আমার শরীরের যে যে স্থানে আসামি আঘাত করেছে, সেসব জায়গায় দাগ আছে। আসামি আমাকে সারাজীবনের জন্য প্রতিবন্ধী করে দিয়েছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আদালত আমাদের সাক্ষ্য-প্রমাণকে আমলে নিয়েছেন।
একপর্যায়ে খাদিজা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মতো যেন আর কোনো মেয়ে এমন নির্মমতার শিকার না হয়।
বুধবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় একমাত্র আসামি বদরুল আলমকে দণ্ডবিধির ৩২৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় বদরুল আলমের হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা। গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্কয়ারে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৮ নভেম্বর খাদিজাকে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়।
খাদিজাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় বদরুল এখন কারাগারে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। ঘটনার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২২:৪৩ ২০৭ বার পঠিত |