
জেলা প্রতিনিধি, ভোলা বানী: ভোলা সদরে ঘুর্ণিঝড়ে দুটি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এক জেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন। রবিবার বিকালে উপজেলার কালাসুরা ও দরিরাম শংকর গ্রামে ঝড়ে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ে ক্ষতি পরিবারগুলোর বেশীরভাগ দরিদ্র পরিবারের। তারা আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে।
জানা গেছে, বিকালের দিকে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরছিলেন সদর উপজেলার সদুরচর পাঙ্গাসিয়া এলাকার রিয়াজ (১৫) নামের এক মাঝি। নদীতে ঝড় শুরু হওয়ায় তিনি সেখানকার সাইমন ব্রিকস্ এর কাছে আশ্রয় নেন। এসময় ব্রিকস্ এর ঘরের চালের একটি টিন খুলে রিয়াজের পেটের উপর গিয়ে পরে। এতে রিয়াজের পেটের বেশিরভাগই কেটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রিয়াজকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ধনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির জানান, বিকালের দিকে প্রচ- বাতাসের সাথে হঠাৎ করেই ঘুর্ণিঝড় শুরু হয়। এতে মুহুতের দুটি গ্রামের শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়। তবে এটি টর্নেডো হতে পারে।

স্থানীয় নাছির মাঝি এলাকার বাসিন্দা পল্লি চিকিৎসক মহিউদ্দিন জানার, ঝড়ে একটি মাদ্রাসাসহ অসংখ্য ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুজাইহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে।
এদিবে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ডা. মহিউদ্দিনের দোকান, খায়ের, আনিস, ইউসুফ, নুরু মাঝি মোর্শেদ, হোসেন, সাইফুল, সবুজ, সুফিয়ান, মান্নান ও নবীর নাম পাওয়া গেছে। এছাড়াও একটি ব্রাক স্কুল ও একটি কওমি মাদ্রাসা বিধ্বস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৪:৪৩ ৫৮৬ বার পঠিত |