খলিল উদ্দিন ফরিদ।।ভোলা বাণীঃকরোনা পরিস্থিতির এই ঝুকির মধ্যে ভোলায় গতকাল থেকে খুলে দেয়া হয়েছে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর ফলে ভোলা শহর ফিরে পেয়েছে তার চির চেনা রুপ। শহরের অধিকাংশ সড়ক এখন রিক্সা, ভ্যান ও ইজিবাইকের দখলে।
শহরের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সড়ক গুলোতে দেখা গেছে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ সাধারন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এর ফলে মানা হচ্ছেনা সামাজিক দূরত্ব। এতে ভোলার সচেতন মহলের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। যদিও, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ইতিমধ্যে ১৪ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।কিন্তু সাধারন জনতা মানছেনা কোন বিধি নিষেধ। এর ফলে করোনা ভাইরাস আরো বেশী সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সচেতন মহলের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। সরকার অর্থনীতির চাকা চালু করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও সাধারন মানুষ কিন্তু সামাজিক দূরত্ব মানছেননা। মানুষ যদি সামাজিক দূরত্ব এবং সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে শহরের চলাচল করতেন তাহলে করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থকতো না।
প্রশাসন কর্তৃক শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা, ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মাস্ক পরা, হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার করা, চার ফুট দরত্বে ক্রেতাদের অবস্থান নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়াসহ ১৪ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই ১৪ দফা নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আগনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভোলার পরিস্থিতি নৌ বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তারা এগুলো দেখভাল করছেন।এছাড়া কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সচেতনতা ও সরকারী নিদের্শনা অমান্য করে ঢাকায় মোকাম বা মালা মাল আনতে যাওয়ায় ভোলার জিয়া সুপার মার্কেট খুলতে অনুমতি দেননি প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৪:৪৩ ১৩৮ বার পঠিত |