আজ হইতে মেঘনা,তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটারের মধ্যে দু’মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আজ হইতে মেঘনা,তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটারের মধ্যে দু’মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ
বুধবার, ১ মার্চ ২০১৭



ঘাটে টলার বেধে রেখে অবসরে জেলেরাভোলাবাণী : ১ মার্চ বুধবার থেকে টানা দুইমাস মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কি.মিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ ধরা, বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ। মৎস সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০-এ সংযোজিত ১৩নং ধারার অনুবলে মৎস অধিদপ্তর ছোট মাছ সংরক্ষণের জন্য ২০০৫ সালে এ আইন জারি করে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সাধারণ জেলেদের পূণর্বাসনেরও ব্যবস্থা করবে সরকার।

মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে জানা যায়, মৎস অভয়াশ্রম হিসেবে প্রতি বছরের ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দু’মাস ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদী ও শাহবাজপুর শাখা নদীর প্রায় ৯০ কি.মিটার এলাকা এবং ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কি.মিটার এলাকায় সকল প্রকারের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এসময়ে উপজেলা প্রশাসন, মৎস অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও পুলিশ এসব মৎস অভয়াশ্রম সমূহে নিয়মিত যৌথ টহলের ব্যবস্থা করবেন। আইন লঙ্ঘন করে কেউ মাছ ধরলে মাছ, জাল ও নৌকাসহ সকল মাছ ধরার সরঞ্জামাদি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়াও আইন অমান্যকারীর এক হতে দুই বছর জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের  বিধান রয়েছে।

ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশন এলাকার বিভিন্ন মাছঘাট সমূহে গত কযেকদিন ধরেই এবিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মৎস বিভাগের লোকজন। এসব এলাকার সকল বরফ মিল মালীকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বরফ তৈরি বন্ধ রাখতে।

এদিকে জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জেলেদের নিয়ে সচেতনতামুলক সভার আয়োজন করেছেন। মাছ ঘাট, স্থানীয় জেলে, মৎস আড়ৎদার ও বরফমিল মালীকদের নিয়ে বিভিন্ন সভার আয়োজন করা হয়।

কোস্ট ইকোফিশ প্রকল্পের ম্যানেজার-টি এস সামিরুজ্জামান বলেন, ইকোফিশ প্রকল্প দ্বীপজেলা ভোলার ইলিশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে গত দুই বছর ধরে মৎস্যজীবিদের নিয়ে সচেতনতা সভা, নদীর পরিবেশ ও জীব বৈচিত্রতা এবং বিকল্প কর্মসংস্থান সহায়ক প্রশিক্ষণ ও উপকরণ বিতরণ, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র গুলোতে মৎস্যজীবীদের নিয়ে মত বিনিময় সভা ও সচেতনতা মূলক ভিডিও চিত্র প্রদর্শণ করে আসছে।

এব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ছোট মাছ সংরক্ষণ করা না হলে ভরা মৌসুমে মাছের সংকট দেখা দিতে পারে। এ জন্য মৎস অভয়াশ্রম সমূহে আগামী ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল মেঘনা ও তেঁতুলিয়া সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। আইন অমান্য করলে শাস্তির বিধান আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:১১:৩০   ৫১৩ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪মনপুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৫ জন ॥ মোট প্রার্থী ১১ জন
তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি ॥
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
এ কে ফজলুল হককে কেন ‘শেরে বাংলা’ বলা হয়?
জাতীয় পর্যায়ের লোকনৃত্য প্রতিযোগীতায় ভোলার মেয়ে স্বস্তিকার ২য় স্থান অর্জন
ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ

আর্কাইভ