দৈনিক আজকের ভোলার ২৬ বছরের পথ পরিক্রমা

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » দৈনিক আজকের ভোলার ২৬ বছরের পথ পরিক্রমা
রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০



---আলহাজ্ব মু শওকাত হোসেন :
সেই পাকিস্তান আমলে সর্বপ্রথম ভোলা থেকে মহকুমা প্রশাসক সিএসপি নাসির নাসির উদ্দিন সাহেবের অনুপ্রেরণায় তৎকালীন এমপিএ মোশারফ হোসেন শাহজাহানের নেতৃত্বে “পাক্ষিক মেঘনা” পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এরপরে স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৮০ সালে তৎকালীন ডিডিসি মোশারেফ হোসেন শাজাহান এমপি এর অনুপ্রেরণায় আবু সুফিয়ান বাহার (মরহুম), মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, মোস্তফা কামাল (মরহুম) ও আশরাফুল হক মাসুম এর মতো কয়েকজনের প্রচেষ্টায় ভোলার প্রথম পত্রিকা “সাপ্তাহিক ভোলা বানী” প্রকাশিত হয়। যদিও ডিক্লারেশন সংক্রান্ত আইনগত সমস্যার কারণে ১৯৮৪ সাল থেকে পত্রিকাটি নিয়মিতভাবে একযুগের বেশি সময় ধরে প্রকাশিত হয়েছে।
এরশাদীয় শাসনের অবসানের পরে অন্তর্বর্তীকালীন তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পত্রিকার ডিক্লারেশন সিস্টেম কিছুটা সহজ করেন।
এ প্রেক্ষাপটে মুহাম্মদ শওকাত হোসেন ভোলা থেকে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেন। এব্যাপারে তিনি ভোলার সংবাদিক-সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু এদের অধিকাংশই তাকে এ জাতীয় ‘অলীক কল্পনা’ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিল। অনেকেই ভোলার মত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থেকে একটি দৈনিক পত্রিকার নিয়মিত প্রকাশনা অসম্ভব বলে মনে করতেন। ওই সময়ে দেশের বেশিরভাগ পত্রিকা ছাপা হতো লেটারপ্রেসে হ্যান্ড কম্পোজে। কাজেই নিঃসন্দেহে বিষয়টি দুঃসাধ্য ছিল, তবে অসাধ্য নয়। যার প্রমাণ দিয়েছেন মুহাম্মদ শওকত হোসেন। এক্ষেত্রে তাকে অনুপ্রাণিত করেছেন মরহুম মোশারেফ হোসেন শাজাহান, মরহুম তারিকুল আলম চৌধুরী, মরহুম ডক্টর আবুল হাসান শামসুদ্দিন, মরহুম অধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ, জিয়াউল কুদ্দুস লিয়াকত ও এএইচএম বজলুর রহমানের মতো কিছু বিদগ্ধজন।
ঢাকায় নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “আকস এডভার্টাইজিং” ফেলে রেখে ভোলায় এসে পত্রিকার ডিক্লারেশন যুদ্ধে নেমে যান মুহাম্মদ শওকাত হোসেন। প্রথমে ‘দৈনিক ভোলা’ নামটি পছন্দ করলেও এর সঙ্গে ‘আজকের’ শব্দটি যুক্ত করে দেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইত্তেফাক সম্পাদক জনাব রাহাত খান। চার মাস নিরন্তর ঢাকা ভোলা দৌঁড়ঝাপ দিয়ে ১৯৯১ সালের শেষের দিকে বিদায়ের আগের দিন ডিক্লারেশন পেপারে স্বাক্ষর করেন জেলা প্রশাসক জনাব ইদ্রিস মিয়া। পত্রিকার ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক বিষয় চিন্তা করে এসময় মোশারেফ হোসেন শাজাহান ও তরিকুল আলম চৌধুরীকে নিয়ে “ভোলা প্রকাশনা লিমিটেড” নামে একটি কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করেও শেষমেশ তা কার্যকর হয়নি। ৯২ সালে পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েও নিজস্ব প্রিন্টিং প্রেস না থাকার কারণে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষে বিষয়টি স্থগিত রাখেন।
বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, আগে প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠিত করবেন, তারপর পত্রিকা বের করবেন। যেই কথা সেই কাজ। ১৯৯২ সালেই ঢাকা থেকে ট্যাবলয়েড পত্রিকা ছাপার উপযোগী একটি ডিমাই সাইজের ফ্ল্যাট প্রিন্টিং মেশিন ক্রয় করে এনে নতুন বাজার রেডক্রিসেন্ট ভবনের পেছনের বারান্দা ভাড়া নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “স্বদেশ প্রিন্টিং প্রেস”। এর প্রথমার্ধে পুনরায় দৈনিক আজকের ভোলা ডিক্লারেশন পেপারে স্বাক্ষর করেন জেলা প্রশাসক সিকান্দার আলী মন্ডল। ১২ এপ্রিল ১৯৯৪ইং তারিখে পত্রিকা প্রকাশনার শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোশারফ হোসেন শাজাহান, ঢাকা থেকে এসে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অধ্যাপক সিরাজুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যায়নরত ছাত্র আশরাফুল ইসলাম (বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাকের মফস্বল সম্পাদক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে এর কোষাধ্যক্ষ)। জেলা প্রশাসক সিকান্দার আলী মন্ডল, পুলিশ সুপার জামশেদ উদ্দিন ভূঁইয়া, পৌর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড নুরুল ইসলাম, রেডক্রিসেন্ট সেক্রেটারি মোফাজ্জল হোসেন শাহীন সহ ভোলার সুশীল সমাজ সাংবাদিকবৃন্দসহ সকলের উপস্থিতিতে জমজমাট ছিল কবি মোজাম্মেল হক টাউনহলে অনুষ্ঠিত দৈনিক আজকের ভোলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
প্রতিদিন পাঠকের হাতে সময় মতো পত্রিকা পৌঁছাতে সৃষ্টি হল হাজারো প্রতিবন্ধকতা। ভোলায় পত্রিকায় কাজ করার মত হ্যান্ড কম্পোজিটর ছিল না। ইসলামিয়া প্রেসের পুরানো বয়স্ক কম্পোজিটর সুলতান মিয়াকে নিয়োগ দেয়া হলো। তিনি আরো তিনজন সহকারি নিয়ে রাতদিন খেটেও যথাসময়ে পত্রিকা ছাপাতে ব্যর্থ হতো। কোন কোন দিন বিকেল তিনটা চারটা বেজে যেত পত্রিকা বাজারে ছাড়তে। বাধ্য হয়ে এএইচএম বজলু সাহেবের সহায়তায় বরিশাল থেকে কম্পোজিটর এনে সমস্যার সমাধান করা হলো। পরে ভোলার ছেলে আতিক ঢাকার চাকরি ছেড়ে আজকের ভোলায় যোগ দেন। আতিক কম্পোজের দায়িত্ব গ্রহণ করলে আর কোন সমস্যা হয়নি।
সে সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খবর সংগ্রহ করা হতো রেডিও থেকে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে। এর জন্য একজন রেডিও মনিটর নিয়োগকৃত ছিল। একপর্যায়ে হ্যান্ড কম্পোজ এবং লেটার প্রেসের যুগ শেষ হয়ে যায়। তখন বাধ্য হয়ে ঢাকা থেকে আনা সেই মেশিনটি কেজি হিসেবে বিক্রি করতে হয়েছে। বরিশাল থেকে একটি পুরানো অফসেট মেশিন এনে জোড়াতালি দিয়ে চালাতে হয়েছে দুতিন বছর। সেটিও অচল হয়ে গেলে কেজি হিসেবে বিক্রি করতে হয়েছে। কয়েক বছর ঢাকা থেকে শাহিন সাহেবের শরীয়তপুর প্রেস থেকে পত্রিকায় ছাপিয়ে ঢাকার পত্রিকার সাথে ভোলা এনে বাজারজাত করতে বাধ্য হয়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতা ও জটিলতার কারণে বারবার পত্রিকা অফিস ও প্রিন্টিং প্রেস স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়েছে। এক স্থান থেকে অন্যস্থানে সেই রেডক্রিসেন্ট ভবনের পেছনের বারান্দা থেকে শুরু। পরবর্তীতে কো-অপারেটিভ ভবন, খলিফাপট্টি মসজিদ মার্কেট, নতুন বাজারে অন্য আরেকটি ভবন, তারপর মহাজনপট্টি, এরপরে তালুকদার ভবনের নিচতলায় এরপরে দোতালায় এভাবে বিভিন্ন স্থানে অফিস স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়েছে। সবশেষে বহুকষ্টে নিজের সর্বস্ব দিয়ে এবং ধার-কর্জ করে ২০০৮ সালে ১৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক অফসেট প্রিন্টিং মেশিন বসিয়ে পত্রিকা নতুন আঙ্গিকে বর্তমান অবয়বে পত্রিকা প্রকাশনা শুরু হয়। বিগত এক যুগের বেশি সময় যাবত সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। কার্যালয় নতুনবাজার শেরে-ই বাংলা সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলা।
দৈনিক আজকের ভোলা শুরু থেকে কিছু মৌলিক নীতিমালার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হচ্ছে। ১। পত্রিকাটির সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও দলনিরপেক্ষ নীতিতে চলছে ২। সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা ও যথার্থতার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয় ৩। স্থানীয় সংবাদকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ৪। বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সপ্তাহের প্রতিদিন একটি করে ফিচার পাতা শুরু থেকে চালু রয়েছে ৫। খেলাধুলা ও আন্তর্জাতিক সংবাদের জন্য প্রতিদিন বিশেষ স্থান নির্ধারিত রয়েছে ৬। উন্নয়ন সাংবাদিকতাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় ৭। ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রশ্নবিদ্ধ সংবাদ, নেতিবাচক সংবাদ ও হলুদ সাংবাদিকতাকে এড়িয়ে চলা হয় ৮। সাংবাদিকতাকে মিশন হিসেবে গ্রহণ করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সততা নীতি-নৈতিকতা, ধর্মবোধ তথা ইতিবাচক চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটানো ৯। সাংবাদিকতায় আগ্রহীদের মধ্যে সৎ সাংবাদিকতার বিকাশ ঘটানো ১০। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সংবাদ ফিচার ইত্যাদিকে এড়িয়ে চলা।
মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন, মানবাধিকার ও ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ পত্রিকাটি শুরু থেকে দুটি স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। এক: পবিত্র কোরআনের বাণী- “সত্য সমাগত, অসত্য বিদূরিত। সত্যের জয় হবেই” দুই: “অসত্যের কাছে কভু নত নাহে শির, ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর”। প্রকাশনার পর থেকে প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হতে হয়েছে দৈনিক আজকের ভোলাকে। প্রতি হিংসা, আক্রোশ এবং ক্ষুদ্র মানসিকতার অসুস্থ শিকার হতে হয়েছে বারবার। অবরুদ্ধ হতে হয়েছে আর্থিক ও নানা সমস্যায়। সকল প্রতিবন্ধকতাকে ভেদ করে দৈনিক আজকের ভোলা তার নীতি-আদর্শে অটল থেকে নিয়মিত প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত না করে ইতিবাচক মানসিকতা এবং মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহে পত্রিকাটি আগামীর পথে সদর্পে এগিয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক আজকের ভোলা শুধুমাত্র নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশের মধ্যেই তার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে রাখেনি। শুরুতে ১৯৯৪ সালের ১২ এপ্রিল কবি মোজাম্মেল হক টাউনহলে বিশাল আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু করে প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা সভা র‌্যালী ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে আসছে প্রতিবছরই। সাংবাদিকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ, ১২ই নভেম্বর উদযাপন, ইফতার মাহফিল, ঈদ পুনর্মিলনী, সাহিত্য-আড্ডা, নববর্ষসহ বিভিন্ন দিবস উদযাপন করা হয়। আজকের ভোলার উদ্যোগে ২০০৮ সালে কালাম ফয়েজী লেখা “ভোলা জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস” বইয়ের প্রকাশনা উৎসব ভোলা কবি মোজাম্মেল হক টাউনহলে আড়ম্বরপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের ভোলার এক দশক পূর্তিতে প্রকাশিত হয় বিশেষ স্মারক সংখ্যা।
অনুষ্ঠিত হয় দুই দিনব্যাপী এক দশক পূর্তি উৎসব। স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে বিশিষ্ট ৩০ জনকে দেয়া হয় বিশেষ সংবর্ধনা ও পদক। আজকের ভোলার উদ্যোগে কবি মোজাম্মেল হক টাউনহল তিন দিনব্যাপী ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকাস্থ ইরানিয়ান কালচারাল সেন্টারের পরিচালক আলি আবারসাজিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে ২০ বছর/ দুই দশক পূর্তিতে প্রকাশিত হয় বিশেষ আড়ম্বরপূর্ণ স্মারকগ্রন্থ এবং ২৫ বছর পূর্তিতে রজত জয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত হলো “ভোলা জেলার ইতিহাস” গ্রন্থ।
প্রতিটি পদে পদে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি দৈনিক আজকের ভোলা চলার পথে অনেকের কাছ থেকেই আন্তরিক ভালোবাসা ও ইতিবাচক সহযোগিতা পেয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ভোলার ডিসি সিকান্দার আলী মন্ডল ও এসপি জামশেদ উদ্দিন ভূঁইয়া অন্তরের অন্তস্থল থেকে আজকের ভোলাকে ভালোবাসতেন। এমনকি বিভিন্ন স্থানে সফরে গেলে তারা পত্রিকার গ্রাহক সংগ্রহ করে টাকা ও গ্রাহকের নাম পত্রিকা অফিসে পাঠিয়ে দিতেন। অন্যান্য জেলা প্রশাসকগণ পুলিশ সুপারগণ এবং জেলা পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা দৈনিক আজকের ভোলাকে অন্তর থেকে ভালবেসেছেন। আজকের ভোলার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানসহ টিকে থাকা ও সামনের পথে চলার ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ অবদান রয়েছে। ভোলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আলহাজ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব ও পিআইও তছির আহমেদ (মরহুম), শিক্ষাবিদ ডক্টর আবুল হাসান শামসুদ্দিন (মরহুম), অধ্যাপক সিরাজুল হক, অনুবাদক সাহিত্যিক মোস্তফা হারুন (মরহুম), সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মমিন টুলু, সাবেক সচিব এম মোকাম্মেল হক, সাবেক মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাজাহান, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি, এবং সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় নেতা জনাব তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয় সহ অনেকেই দৈনিক আজকের ভোলাকে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, পাশে থেকেছেন।
এছাড়াও এনসিওর ল্যান্ডমার্ক, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা, ইউনাইটেড হাউসিংসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বিজ্ঞাপন দিয়ে আজকের ভোলার সহযাত্রী হয়েছেন। ভোলার সাংবাদিকগণ বিভিন্নভাবে দৈনিক আজকের ভোলাকে নিরন্তর সহযোগিতা করেছেন করছেন।
বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় ভোলার শতাধিক সাংবাদিক বিভিন্ন মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। এদের অধিকাংশের সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয়েছে, অথবা সম্পৃক্ত ছিলেন দৈনিক আজকের ভোলার সাথে। দৈনিক আজকের ভোলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ডঃ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, কবি হাসান মাহমুদ, আরেফিন ফয়সাল, শাহ মতিন টিপু, এডভোকেট নোমান সালমান, আবু জাফর সাইফুদ্দিন, কবি মাসুদ হাসান, মোশতাক আহমদ, এডভোকেট খায়ের উদ্দিন শিকদার, মোজাহেরুল হক রুমেনসহ অনেককে নিয়ে দৈনিক আজকের ভোলা গর্বিত।
বর্তমানে আজকের ভোলার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে যারা বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন তাদের মধ্যে সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, আহাদ চৌধুরী তুহিন, মোসাম্মৎ লুৎফা বেগম, এডভোকেট শাহাদাত হোসেন শাহীন, নাসেফ আল হোসাইন, ছোটন সাহা, আদিল হোসেন তপু, কাজল কৌশিক, খলিল উদ্দিন ফরিদ, বিল্লাল হোসেন, এম শাহরিয়ার জিলন, ইয়াছিনুল হক ঈমন, এম মাইনুল এহসান, মোকাম্মেল মিশু, আবদুল্লাহ আল নোমান, ইমতিয়াজুর রহমান, গোপাল চন্দ্র দে, মাসুদ রানা, নুর উদ্দিন মাহমুদ, শাহিন আলম মাকসুদ, মোহাম্মদ নুরুল আমিন, মওলানা আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ ফারুক, হেলাল উদ্দিন লিটন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ শাহে আলম, আবদুল্লাহ জুয়েল, আতিয়ার রহমান আতিকসহ এক ঝাঁক সাংবাদিককে নিয়ে চলছে দৈনিক আজকের ভোলা পরিবার।
সবকিছু মিলিয়ে দ্বীপ জেলা ভোলার প্রথম দৈনিক মুখপত্র দৈনিক আজকের ভোলা তার স্বকীয় অবস্থান ও মর্যাদায় অভিষিক্ত থেকে দীর্ঘ ২৬ বছর নানা ঝড়ঝঞ্জা পেরিয়ে ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হচ্ছে। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও স্বমহিমায় ভাস্বর থেকে একদিকে সুস্থ মিডিয়া ও সাংবাদিকতার বিকাশে উজ্জ্বল ভূমিকা অব্যাহত রাখবে, অন্যদিকে সমাজ সভ্যতার উন্নয়ন অগ্রগতি এবং দেশাত্মবোধ ধর্ম ও মানবতার কল্যাণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের অঙ্গীকারসহ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাবে ভোলার মানুষের প্রিয় পত্রিকা দৈনিক আজকের ভোলা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৪:০৮   ২২৭ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


বীজ পাইনি সার দিয়ে কি করবো ? চরফ্যাশনে কৃষকের প্রশ্ন
চরফ্যাশনে বিদ্যুৎ স্পৃস্টে শিশুর মৃত্যু
তজুমদ্দিনে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ৩শ কেজি পাঙ্গাসের পোনা আটক ॥
প্রাইম ইউনিভার্সিটি ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মধ্যে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরিত
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ লালমোহনে দোয়াত কলম সমর্থকদের ওপর শালিক সমর্থকদের হামলার অভিযোগ
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় চলছে বাগদার রেণু শিকারের মহোৎসব
ড্রেজারে সরকারি জলাশয়ের মাটি খনন ঝুঁকিতে মুজিব কিল্লা
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত

আর্কাইভ