ছোটন সাহা ॥বিশেষ প্রতিনিধি ॥ভোলাবাণী ॥
নানা ঘটনায় গত এক বছর (২০১৯) কেটেছে ভোলাবাসীর। বিশেষ করে জেলে পরিবারে ছিলো আতংক আর উৎকন্ঠার। কেননা ঝড়ের কবলে মাছ শিকারে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে জেলেদের। এছাড়াও ট্রলার ডুবি আর নিখোঁজ জেলে হওয়ার ঘটনা ছিলো বছরজুড়েই।
স্বজন হারিয়ে জেলে পরিবারে যেন এখনো কান্নার রোল। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিকে হারিয়ে নানা সংকটে দিন কাটছে জেলে পরিবারে। গত এক বছর জেলায় সর্বমোট ২৫ জেলে নিহত হয়েছে। এছাড়াও নিখোঁজ ও আহত হয়েছে আরো ৫০ জেলে। ঝড়ের কবলে পড়ে এসব জেলে নিহত হয়।
নিহত জেলের মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার ১৬ জন, ভোলা সদরে ৪ জন, বোরহানউদ্দিনে ৩ জন ও লালমোহন উপজেলায় ২ জন রয়েছে।
বছরের সবচেয়ে বেদনাদায়ক জেলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ১০ নভেম্বর। ঘূর্নিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ট্রলার ডুবে নিহত হয় ১০ জেলে। ভোলা সদরের ইলিশা পয়েন্টে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এতে চরফ্যাশনের নুরাবাদ, মাদ্রাস ও আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্বাস, হাসান, রফিক, বিল্লাল, নজরুল, নুরুন্নবী, কামাল, কবির, মফিজ ও সামসু। মৎস্যজীবীদের কাছে স্বরনকালের ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার কথা মনে করে আজো আতকে উঠেন। স্বজন হারিয়ে কষ্টে দিন কাটছে জেলে পরিবারগুলোর।
সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে আরেক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে আরো ৬ জেলে। ঝড়ের কবলে ট্রলার ডুবির ৬ দিন পর ১০ জুলাই কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সেই ঘটনায় নিহত অজিউল্যাহ, অলিউল্লাহ, মাকসুদ, বাবুল, কামাল ও জিহাদেরর বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ও মাদ্রাজ ইউনিয়ন। এ ঘটনায় নিখোজ ছিলো ৬ জেলে। একই মাসে লালমোহনের মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে নিহত হয়েছে কবির ও রাসেল নামের দুই জেলে। বেতুয়া স্লুইজঘাট এলাকা থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সময় ঝড়েন কবলে ভোলা সদরের মেঘনায় ৪ ও বোরহানউদ্দিনে ৩ জেলে নিহত হয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজাহারুল ইসলাম জানান, গত দুই বছরের সর্বমোট ৪৮ জন জেলে নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে ২৮ জেলে চরফ্যাশনের। নিহতের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১০:৫৯ ২১১ বার পঠিত |