স্টাফ রিপোর্টার ॥ভোলাবাণী॥
ভোলায় ইলিশ নিষেধাজ্ঞার ১০ দিনে ১৮০ জেলেকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৬ লাখ ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট কারেন্ট জাল ও ৩ হাজার ২০০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ৯ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ১৮২ টি অভিযানে এ জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মৎস্যবিভাগের তত্ত্বাবধানে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ নিয়ে গত ১০ দিনে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ১৮২ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এরমধ্যে ১০৯টি মোবাইল কোর্টে ১৮০ জনের সাজা হয়েছে এবং মামলা হয়েছে ১২৩টি। শনিবার চরফ্যাশনে আরো ১৭ জেলে আটক হয়েছে। মোট কারাদন্ডের মধ্যে ভোলা সদরে ৭৯ জন, দৌলতথানে ৪ জন, বোরহানউদ্দিনে ১৯ জন, তজুমদ্দিনে ১০ জন, লালমোহন উপজেলায় ৫ জন, চরফ্যাশনে ৫২ জন ও মনপুরায় ১২ জেলে রয়েছে।
জেলায় মোট নিবন্ধিত জেলে রয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার। তবে বেসরকারি হিসাবে ২ লক্ষাধিক।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে অভিযান চলছে। যারা আইন অমান্য করছে তাদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।
এদিকে মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, শনিবার চরফ্যাশনে মেঘনায় অভিযান চালিয়ে ২টি ট্রলার ৩০ কেজি ইলিশ ও ২হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়েছে। ১৩জন জেলেকে ১বছর করে কারাদ- দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৪জন শিশুকিশোর জেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকাল ৪.৩০ মিনিটে মেঘনার লর্ডহহার্ডিঞ্জ পয়েন্ট থেকে এদের আটক করা হয়। এছাড়াও সকালে তেঁতুলিয়া নদীতে ৩ জেলেকে ৫হাজার করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও জিমরান মোহাম্মদ সায়েক ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ কারাদ- দেন।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের ৯-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৬:০৭ ২০৭ বার পঠিত |