ভোলাবাণী বিনোদনঃ চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি মৌলিক গানেও তাঁর সমান গতিবিধি। গান তাঁর কাছে গল্প বলা। সেই গল্প খুঁজতে গিয়ে তিনি প্রায়ই চষে ফেলেন আসমুদ্র হিমাচল। জি সারেগামাপাতে দেশের প্রথম সারির সেই সুরকার শান্তনু মৈত্র সুর দিলেন কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতায়। কবির কথা আর শান্তনুর সুরের জাদুতে যে গান বলবে অ্যাসিড আক্রান্ত মেয়েদের লড়াইয়ের গল্প। তাঁদের যন্ত্রণা, প্রতিদিনের যাপিত জীবনের ইতিকথা। বাংলাদেশের প্রতিযোগী নোবেলের কণ্ঠে কতটা জাদু ছড়াবে সেই গান? এই ধরনের কাজ করার অনুভূতিই বা কেমন?
আমি গান মাথায় শুনতে পাই। বিষয় জানার পর তাই আগে সুর করলাম। তারপরে শ্রীজাত কথা বসালেন। শ্রীজাতর কলম তো সোনা দিয়ে বাঁধানো! প্রকৃতি, প্রেম, প্রতিবাদ, যন্ত্রণা, যুদ্ধ—সব জীবন্ত হয় ওঁর লেখনির গুণে।
এই গানের জন্য নোবেল-ই কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, আমি এই গানের সুর করেছি নোবেলকে ভেবেই। এই ধরনের গান বাঁধার অনুপ্রেরণা কিন্তু নোবেলের মতো নতুন প্রতিভারাই। ওরা অন্যের গান গাওয়ার পাশাপাশি যাতে নিজেদের গানও গাইতে পারে তার জন্য তো অরিজিনালসের দরকার অবশ্যই। নোবেলের আরও গুণ আছে। ও দ্রুত গান তুলে নিতে পারে। ওর সঙ্গে যখন প্রথম বসেছিলাম তখন গান নিয়ে বসিনি। গানের চিন্তাটা নিয়ে বসেছিলাম। ওর সঙ্গে আলোচনা করে জানালাম কী চাইছি। নোবেল সেটা বুঝে নিয়ে গানে নিজেকে উজাড় করে দিল।
শান্তনু বলেন, নোবেল আইয়ুব বাচ্চুর গান গাইতে ভালোবাসে। আজ যদি আইয়ুব বাচ্চু থাকতেন তাহলে উনিও আমার মতোই হয়তো নোবেলকে ডেকে বলতেন, তোমার জন্য একটা গান করতে চাই। নোবেল নিজেকে সেই জায়গাতেই আস্তে আস্তে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০০:৪২ ২৫৯ বার পঠিত |