ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বিদ্যুতের আলো

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বিদ্যুতের আলো
রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১



ভোলাবাণী ডেক্স রিপোর্টঃ চর কুকরি-মুকরি দেশের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ। সবুজ ম্যানগ্রোভ ও নাম না জানা পাখির অভয়ারণ্য। এ দ্বীপটি ভোলা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে। নদীপথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হয় সেখানে। বাহন একমাত্র ইঞ্জিনচালিত নৌকা। এ জনপদে সন্ধ্যা নামার আগেই রাতের নীরবতা নেমে আসত এক সময়। বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপটিতে কখনও বিজলি বাতি জ্বলবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি স্থানীয়রা। অধিকাংশ মানুষ সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সৌন্দর্যের এ লীলাভূমিতে সাগরের তলদেশ দিয়ে বিদ্যুতের তার (সাবমেরিন কেবল) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দূর করা হয়েছে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপের অন্ধকার।

ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বিদ্যুতের আলো

এভাবে প্রায় ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছেছে। বাকি ছোট বড় কিছু চরাঞ্চল। এসব এলাকাও বিদ্যুতের আওতায় দ্রুত চলে আসবে বলে জানা গেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে সারাদেশের মাত্র ৪৭ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। এখন প্রায় ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। মাত্র এক দশকের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ এই অগ্রগতি অর্জন করেছে। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সে কারণে সরকার দুর্গম এলাকাগুলোতেও বিদ্যুৎ দিতে চায়।
কারণ, বিদ্যুতের আলো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে যে ইশতেহার দিয়েছিল সেখানে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছিল। সরকার গরিব-মধ্যবিত্ত-মেহনতি মানুষের জীবন পরিবর্তনে কাজ করছে। বিদ্যুৎ এই পরিবর্তনের অন্যতম নিয়ামক। তিনি আরও বলেন, এখন আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো এবং তা সারাদেশে সরবরাহ করার কাজ করছি। এটার পর আমরা সাশ্রয়ীমূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করব। বেশ কিছু প্রকল্পে কাজ চলছে, সেগুলো শেষ হলে শহরের মতো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতের আরও উন্নত সেবা পাবে জনগণ।
এসব দুর্গম অঞ্চলে বিদ্যুৎ আসবে এ কথা সেখানকার মানুষও ভাবেননি। কিন্তু সেই না ভাবা কুকরিতেও জ্বলছে বিজলি বাতি। যেসব এলাকায় এরই মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে পরিবর্তন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সুযোগও বেড়েছে কয়েক গুণ। ওই সব জনপদের বাসিন্দাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার হার বেড়েছে।

অথচ এসব চরে সন্ধ্যা নামলেই আলো বলতে শুধু ভেসে বেড়ায় অজস্র জোনাকি পোকা। আধুনিক সভ্যতার অনেক কিছুই নেই এই চরে। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে চরে নেমে আসে অদ্ভুত আঁধার। মূল ভূখ থেকে বিচ্ছিন্ন চর হাসিনা, মুজিবনগর ও মন্তারে মতো দুর্গম চরগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষের দিকে। দ্রুতই সেখানেও জ্বলে উঠবে বিজলি বাতির আলো।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও পাহাড়বেষ্টিত ভুটানে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে ২০১৯ সালে। পাকিস্তানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ, আফগানিস্তানে ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশ ও ভারতে ৯৭ দশমিক ৮ শতাংশ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে বলে বিশ্বব্যাংকের হিসাব বলছে। সেখানে বাংলাদেশের ৯৯ দশমিক ৯ ভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে। বাকি মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে চলতি বছরের মধ্যেই।

বাংলাদেশ সময়: ১০:২৬:৩৮   ৭৭ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
দেশ ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কংগ্রেস: নরেন্দ্র মোদি
ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার খালের উপর ব্রিজ নির্মানের দাবী মনপুরাবাসীর ॥
লালমোহনে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়
লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪ভোলার ৩ উপজেলায় ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল

আর্কাইভ