হাসপাতালে নেই আলাদা ইউনিট ভোলায় ডেঙ্গুর সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ছে ,

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হাসপাতালে নেই আলাদা ইউনিট ভোলায় ডেঙ্গুর সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ছে ,
সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২



ছোটন সাহা ॥ভোলাবাণী।। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর উপকূলীয় জেলা ভোলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনিই গড়ে ৪-৫জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। গত সাত দিনে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। এক মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৯ জন। গত ৩ মাসে মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ১৩১জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য ১২৫জন। বাকিরা চিকিৎসাধীন।

ভোলায় ডেঙ্গুর সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ছে , হাসপাতালে নেই আলাদা ইউনিট

হঠাৎ করে রোগেরর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকটাই চিন্তিত দ্বীপজেলার মানুষ। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সেবা দেয়া হলেও ডেঙ্গুর জন্য আলাদা ইউনিট না থাকায় চিন্তিত হয়েছে মানুষ। কারন সংক্রামনটি অন্যদের ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে, গত দুই মাসে জেলায় ১৩১ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৫ জন। আক্রান্তদের বেশিরভাগ রাজধানী ঢাকা ফেরত। তাই ডেঙ্গুর সংক্রমণ ত্রুত ছড়াতে বলে মনে বরছেন চিকিৎসকরা।

বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৫ জন।
আক্রান্তদের বেশিরভাগ রাজধানী ঢাকা ফেরত।
ডেগু নিয়ন্ত্রনে মশক নিধন অভিযান পরিচালনার দাবী সচেতন মহলের।

ভোলা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, মেডিসিন ও সার্জারি ওয়ার্ডে সাধারন রোগীদের সাথে চিকিৎসা দেয়া হচছে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য রাখা হয়নি কোন ইউনিট।
আক্রান্ত রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেল, আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ ঢাকা থেকে আসা রোগী।
রোগীর স্বজন ওমর ফারুক বলেন, আমার ছেলে ঢাকার একটি গার্মেন্টস চাকুরি করে, ৩ দিন আগে জ্বরে আক্রান্তের পর বাড়িতে চলে আসতে বলি, এখন সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
বিবি হাজেরা নামে আরেক ডেঙ্গু রোগীর মা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসার পর ছেলে অসুস্থ্য। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
কয়েকজন স্বজন জানালেন, হাসপাতালে ডেঙ্গুর জন্য আলাদা ইউনিট না থাকায় আমরা আংতকে থাকি, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট থাকলে ভালো হতো।
এদিকে চারদিকে নদী বেস্টিত দ্বীপজেলা ভোলায় বসবাস করছেন ২০ লাখের অধিক মানুষ। এর একটা অংশ কর্মের সন্ধানে ঢাকায় অবস্থান করেন। রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির ফলে আক্রান্ত রোগীদের মাধ্যমে ডেঙ্গুর সংক্রামন ছড়িয়ে পড়েছে দ্বীপজেলায়। শুধু তাই নয়, আক্রান্তদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলেও সেখানে নেই ডেঙ্গুর জন্য আদালা কোন ইউনিট।
এতে একজন থেকে অন্যজনের শরিরে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। এতে অনেকটাই আতংকিত মানুষ। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, খুব শিগগির ডেঙ্গুর আলাদা ইউনিট খোলা হবে, আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে সংক্রমন কমে যাবে।
ভোলা সদর হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, এখন ডেঙ্গুর যে অবস্থায় রয়েছি তা ভালোর দিকে বলা যায়, এখন পর্যন্ত কোন রোগী মারা যায়নি। তবুও আমরা প্রয়োজনীয় সেবা দিচ্ছি, খুব দ্রুত আলাদা ইউনিটি খোলপ হবে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, ভোলাতে যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের বেশিরভাগ ঢাকা ফেরত। স্থানীয়ভাবে আক্রান্তের হার খুবই কম। জেলার সার্বিক বিবেচনায় রোগের প্রকোপ বাড়ায় আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচারনা, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সচেতনতার বিষয়ে কাজ করছি, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
ভোলা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট চালুর পাশাপাশি ডেগু নিয়ন্ত্রনে মশক নিধন অভিযান পরিচালনার দাবী সচেতন মহলের।

বাংলাদেশ সময়: ৮:১৯:১০   ৭৭ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


ভোলার নৃত্যশিল্পী স্বস্তিকার জাতীয় প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন
ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
দেশ ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কংগ্রেস: নরেন্দ্র মোদি
ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার খালের উপর ব্রিজ নির্মানের দাবী মনপুরাবাসীর ॥
লালমোহনে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়
লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ

আর্কাইভ