

মঙ্গলবার ● ২১ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মনপুরায় ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার ॥ ব্রীজ নির্মানের দাবী স্থানীয়দের ॥
মনপুরায় ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার ॥ ব্রীজ নির্মানের দাবী স্থানীয়দের ॥
মোঃ ছালাহ উদ্দিন।।ভোলাবাণী ।।মনপুরা প্রতিনিধি ॥ মনপুরায় বর্ষা মৌসুমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ সাঁকো পার হচ্ছেন । কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাচ্ছেন। খালের উপর ব্রীজ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দাসেরহাট গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ। দ্রুত খালের উপর ব্রীজ নির্মানের দাবী করছেন স্থানীয়রা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজির হাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড দাসের হাট গ্রামের মাঝের রাস্তার মাথায় খালের উপর বিশাল গাছের সাঁকো। সাঁকো পারি দিয়ে প্রতিদিন গ্রামের সাধারন মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য - সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজারে যায়। সাঁকো পার হয়ে মেইন রোড সংলগ্ন পশ্চিম পাশে নামাজ আদায় করার জন্য মুসল্লিরা ফজল মুন্সি বাড়ীর দরজার মসজিদে আসে। সাঁকো পার হতে বিপাকে পড়তে দেখা গেছে শিশু , মহিলা ও বয়স্কদের। সাঁকো থাকায় কোন যানবাহন রাস্তায় যেতে পারেনা। মালামাল নিয়ে চরম দুর্ভোগে শিকার হচ্ছেন সাধারন মানুষ।
এব্যাপারে সাঁকো সংলগ্ন বাড়ীর কামাল বলেন, প্রতিদিন স্কুলের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা সাঁকো পার হওয়ার জন্য দাড়ীয়ে থাকেন। ঝুঁকি নিয়ে তারা সাঁকো পার হয়। অনেক সময় বইসহ খালের মধ্যে পড়ে যায়। বৃদ্ধ মহিলারা বিশাল সাঁকো পার হতে পারেনা। এই খালের উপর একটি ব্রিজ দিলে জনগনের আর কোন কষ্ট হবেনা।
এব্যাপারে দাসেরহাট গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃ শাহজাহান বলেন, প্রতিদিন শতশত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে বিশাল সাঁকো পারি দিয়ে স্কুলে যায়। গ্রামের সাধারন মানুষ নিত্যদিনের পন্যসামগ্রী কেনা-বেচার জন্য উপজেলা সদরে যেতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে সাঁকো পারি দেয়। খালের উপর দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মানের দাবী করছি।
এ ব্যাপারে হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমরা জনগনের দুর্ভোগ লাগবে চেষ্ঠা করছি। যেসকল খালের উপর সাঁকো আছে তার তালিকা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। খালের উপর ব্রিজ নির্মানের জন্য চেষ্ঠা তদবির করে যা”িছ।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছ মিয়া বলেন, খালের উপর ব্রীজ নির্মানের জন্য দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব প্রেরন করেছি। আশা করছি প্রস্তবটি অনুমোদন হলেই তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।