নিজস্ব প্রতিনিধি।।ভোলাবাণী।।
চরফ্যাসনের এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে কাদের রাঢ়ি নামের এক গরু চোরকে আটকের পর স্থানীয় মিরাজ হাওলাদার ও ইউপি সদসস্যে নুরুল ইসলাম আর্থিক লেনদেনের বিনিয়ম দফারফায় মুক্তি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে ওই ওয়ার্ডের আবদুস সাত্তার সৈয়ালের একটি গরু চুরি করতে গিয়ে গৃহস্থ সাত্তার সৈয়ালের হাতে ধরা পরেন গরু চোর চক্র কাদের রাঢ়ি।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে স্থানীয় মিরাজ হাওলাদার ও ইউপি সদস্য মিরাজ হাওলাদার গোপনে চোর কাদের রাঢ়ির পরিবারের সাথে আতত করে চোর পরিবারের সাথে গোপনে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে তাকে পুলিশে না দিয়ে ছাড়িয়ে নেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সোমবার রাতে আবদুল কাদের প্রতিবেশী সাত্তারের গরু চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পরে। গরুর মালিক সাত্তারের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে আটক করেন।পরে খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বার প্রার্থী মিরাজ হাওলাদার ও বর্তমান ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম মোল্লা এবং স্থানীয় চকিদার জাহাঙ্গীর মিলে চোর আবদুল কাদেরের পরিবারের সাথে গোপনে আতত করে আর্থিক লেনদেনের বিনিয়ম তাকে ছাড়িয়ে নেন। আবদুস সাত্তার অসহায় হওয়ায় প্রভাবশালী ইউপি সদস্য মিরাজ হাওলাদার ও ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম মোল্লার চাপের মুখে কোন প্রতিবাদ করতে পারেনি গরুর মালিক সাত্তার।
গরুর মালিক সাত্তার জানান,আমার ঘরের পাশে বেধে রাখা গরুটি প্রতিবেশী কাদের গভীর রাতে চুরি করতে গেলে তিনি টের পেয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী দুই মাতাব্বর মিরাজ হাওলাদার ও ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের চাপের মুখে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম মোল্লার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানায়ায়নি।
যদিও আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে স্থানীয় মিরাজ হাওলাদার জানান,কাদের রাঢ়ির সাথে আবদুস সাত্তার পরিবারের পূর্ব শক্রতার জের ধরেই গরু চুরির নাটক সাজিয়েছেন।বিষয়টি আমরা সমোঝতা করে দিয়েছি।
শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানানাই। তবে খোজ খবর নিয়ে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫০:১২ ৫৬ বার পঠিত |