শনিবার, ৪ মে ২০১৯

ফণি’র প্রভাব: বরিশাল অঞ্চলে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ফণি’র প্রভাব: বরিশাল অঞ্চলে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।
শনিবার, ৪ মে ২০১৯



---ভোলাবাণী বিভাগীয়ঃ

ফণি’র প্রভাব বরিশালসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্ন অঞ্চলে ২ থেকে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাত আড়াইটায় বরিশাল অঞ্চলে ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ‘ফণি’ আঘাত হানে।

ডিসি কর্তৃক নিযুক্ত পিআইওয়ের সূত্রানুযায়ী, বাতাসে কয়েকটি এলাকার কিছু কাঁচা ঘড়-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বরিশাল অঞ্চলে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।

বরিশালের ডিসি বলেন, জেলার ১০ উপজেলায় ৩৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তবে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনিহা প্রকাশ করছে। কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যেয়েও আবার ফিরে আসতে শুরু করে। গবাদী পশু ও নিজেদের পৈত্রিক ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকেরই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।

অপরদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উপকূলীয় জেলা ও উপজেলায় প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩৩১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ফণি’র বিষয়ে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের ডিসি কর্তৃক নিয়োজিত পিআইও জানান, রাত থেকেই দমকা হাওয়া বইছে। তবে বৃষ্টি হয়নি। এই এলাকার ইউপিগুলোতে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

হিজলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দুই থেকে তিন নদীর পানি বৃদ্ধি হয়েছে, এতে রবি ফসলের নষ্টের আশংকা করা হচ্ছে। তবে জানমাল ও গবাদিপশু ছাড়া অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বরিশালের গৌরনদীতে বাতাস ও হালকা বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তবে নদীর পানি স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উপজেলায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। বাবুগঞ্জ উপজেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, এখানেবৃষ্টি না থাকলের দমকা হাওয়া বইছে সকাল থেকেই। এই উপজেলায়ও তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বিভিন্ন উপজেলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশালের ডিসির কার্যালয় থেকে নিযুক্ত বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পিআইও।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫৮:২১   ২৬৭ বার পঠিত  |