লেখক- নায়লা পাইলট।।
রবি উদিত ঝলমল করছে নীল আকাশ
আলোক রশ্মিগুলো খেলছে মনের কার্পেটে,
হৃদয়ের ঘর অনেক অন্ধকারাচ্ছন্ন নেই কোন ছন্দ উড়ন্ত চাতক পাখিরা তৃষ্ণার্ত সাহারা মরুভূমি বালুকাময়।
কর্কশ শব্দ ,ধোঁয়া বাতাসে ভেসে আসছে
শহরের চাপা কোলাহল দম বন্ধ মনের জানালা ,কপাট খুলতে ভয়ে কাতর
নিরবতার শব্দ ভাঙ্গতে মন হলো পাথর।
নিজের ঘরের মৌনতা ভেঙ্গে করি চুরমার
নিষ্পলক তাকাই মনের ক্যানভাসের দিকে,
প্রেমের আলিঙ্গনের ছবি আঁকি ছবিতে ফুটিয়ে তুলবো নিজের অস্তিত্বের প্রতিচ্ছবি পারব কি রং তুলির আঁচরে রাঙাতে হৃদয়ের প্রতিবিম্ব?
শিল্পীসুলভ স্থিরতা মানষিক দৃঢ়তা,আস্থার অভাব নেই আত্মবিশ্বাসকে জাগ্রত পাই,
আধুনিক জীবনকে ফুটিয়ে তুলেছি তুলির আঁচরে কল্পনার নীল পবণের গায়ে অনবরত ।মনোচ্ছবি খুব যতনে এঁকে যাই ভাবনার জগতে তোমায় বারবার ফিরে আমি পাই।
পুকুরধারে মনের বাগান বিলাশে গা ঘেঁসে নিবিড় হয়ে বসে দুজন দুজনকে দেখি,
ভালোবাসার হৃদ কম্পন কপোত কপোতী
মনের রং বদলে গেলো বেরঙ হয় ছবি হঠাৎ রঙিন করতে কবিতা লিখি।
বলাকা, কাক , চিলদের লড়াই বাতাসের সাথে
আমার রং তুলি তারা ছিটকে দিলো,
কবিতার মাঝে শিল্পীস্বত্তা ফিরে এলো
তুলির রং এ রঙিন সত্ত্বা সর্বত্র দিয়ে গেল।
হৃদয় দর্পণে নিজের প্রতিবিম্ব দেখি
দীর্ঘ আস্হায় ভিতর অবচেতন মনে শুনি ,
আত্ম চাপা দীর্ঘশ্বাস দুরদান্ত সাহসের মনের ক্যানভাসে তুলির আঁচড় বসাই সাদা কাগজে।
এখন শুধু ভালোবাসি নিজেকে
অন্তরে নিষ্ঠাপূর্ণ নিবেদনে রবে সবাই ,ভালোবাসবে শুধু আমাকে
প্রেম ,নিষ্ঠা ধৈর্য্য, সৎকর্মের সম্মেলন
দেবে আমায় সাফল্য।
মনোনিবেশ নিরব থেকে আত্মনিয়োগ করি আমি বুঝি আমি ও পারি ধীর মন্থর গতিতে রং ,তুলি আমার ভেতরের অদৃশ্য ছবি দৃশ্যমান প্রেরণায় প্রাণ সঞ্চার করে অবচেতন মনের ছবিকে জীবন্ত করে তুলে।
আত্মার কার্পেটে ফুটালাম নিজের রক্তিম লাভা , গোলাপী সুগন্ধী গোলাপ , না পাওয়া প্রেমের আর্তনাদ , আত্ম গাঁথা,ভালোবাসার অগ্নি জ্বালা, বিরহী মন , আত্ম ধ্বণি।
আমার ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত হৃদয়ের রক্তক্ষরণ
আমার শিল্পীস্বত্তার সফলতায় আমি মুগ্ধ নয়ন জুরিয়ে হই আত্মহারা
নিজের অজান্তে আঁখি দুটো সিক্ত দিশেহারা।
ঝরো হাওয়ায় ছিটকে পড়ে দু’ ফোঁটা অশ্রু
ভালোবাসার বিনিময়ে পেলাম অসংখ্য অশ্রু
ফোঁটা ,হৃদয় নিংরানো কান্নায় ভাঙে না আব্রু
চিত্রশিল্পীর কারুকাজে দক্ষতায় এবার হলাম ভরপুর।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৬:২৪ ৩২৫ বার পঠিত |