বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৯

চরফ্যাশনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা তুলে নিতে আসামীদের হুমকী, আসামী গ্রেফতারে পুলিশের অনিহা

প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা তুলে নিতে আসামীদের হুমকী, আসামী গ্রেফতারে পুলিশের অনিহা
বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৯



---চরফ্যাশন অফিস,ভোলা বানী ॥
চরফ্যাশনের এওয়াজপুরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়েরের ৫দিনেও কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ভিক্টিমের অভিযোগ পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করায় মামলা তুলে নিতে আসামীদের হুমকীতে বাদিনী কলেজছাত্রী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ।
ভিক্টিম অভিযোগ করেন, ভিক্টিম এবং তার বড় বোন চরফ্যাশন ফাতেমা মতিন মহিলা কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।গত ২৬ জানুয়ারী দুপুরের পর কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে ভিক্টিম ও তার বড় বোন নিজ বসতঘরের দু’টি কক্ষে কলেজ পোষাক পরিবর্তন করছিলেন। এসময় ওয়াজপুর  ৪নং ওয়ার্ড’র জামাল পাটওয়ারীর  ছেলে আসামী শাহীন ভিক্টিমের শয্যাকক্ষে ঢুকে তাকে ঝাপকে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় । এসময় অপর দুই আসামী জামাল পাটওয়ারীর ছেলে রাকিব এবং  ৫নং ওয়ার্ডের জামাল ভুইয়ার ছেলে জুয়েল কক্ষে ঢুকে তার পরিধেয় পোষাক খুলে ফেলে। ভিক্টিমের চিৎকারে বড় বোন ছুটে আসলে আসামীরা তাকে মারধর করে। দু’বোনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। তাদের বাবা চট্রগ্রামে দিনমজুরের কাজ করেন। ঘটনার দিন তিনি চট্রগ্রাম ছিলেন। মা অসুস্থ নানিকে দেখতে যাওয়ায় বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার পর মা বাড়ি এসে ভিক্টিম ও তার বোনকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করান। প্রাথমিক অবস্থায় শশীভূষণ  থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। নিরুপায় হয়ে ভিক্টিমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শরনাপন্ন হন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে শশীভূষণ থানা পুলিশ ঘটনার পরদিন ২৭জানুয়ারী ধর্ষণ চেষ্টা এবং সহায়তার অপরাধে মামলা গ্রহন করেন। কিন্তু এখন আসামীদের গ্রেফতার করছেন না। বিষয়টি অবহিত করতে বুধবার ভিক্টিম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আসলে নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে না থাকায় ভিক্টিম তার অভিযোগ জানাতে পারেননি। এসময় বিষয়টি সংবাদকর্মীদের জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রুহুল আমিন জানান,তিনি কর্মস্থলেই আছেন। দুপুরের খাবার খেতে বাসায় যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাকে পায়নি, তবে তিনি বিষয়টি অবগত আছেন।
শশীভূষণ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আসামী গ্রেফতার করা হবে।
মামলার এজাহারে ভিক্টিম অভিযোগ করেন, আসামী শাহীন দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অপর দু’ আসামীর সহায়তায় শাহীন কলেজে আসা-যাওয়ার পথে দু’বোনকে উত্ত্যক্ত করছিল এবং দু’বোনকে জড়িয়ে গ্রামে নানান অপপ্রচার চালায়। বখাটে এই তিন যুবকের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ভিক্টিম দু’বোন স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেন। চেয়ারম্যান বখাটেদের ডেকে সতর্ক করেন এবং এমন অপকর্ম না করার বিষয়ে অঙ্গীকার নেন। কিন্ত তারপরও বখাটেরা থেমে থাকেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৬:২৯   ৩৭০ বার পঠিত  |