মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট ২০১৮

চরফ্যাশনে মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষন ॥ ধর্ষক ও সহাযোগী গ্রেফতার

প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষন ॥ ধর্ষক ও সহাযোগী গ্রেফতার
মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট ২০১৮



---মিজান নয়ন ।।ভোলাবাণী ।।চরফ্যাশন সংবাদদাতা ।।
চরফ্যাশনে মাদ্রাসা পড়ৃয়া ছাত্রীকে মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ধর্ষিতা বাদী হয়ে সোমবার রাতে দুলারহাট থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত  উপজেলার আহাম্মদপুর ৭নং ওয়ার্ডের মো.সেলিমের ছেলে  মিরাজ(২৩) এবং তার সহযোগী একই এলাকার আলমগীরের ছেলে সহযোগী শরীফ (২০)  গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলার বিবরনে এবং ধর্ষিতা জানান, তার বাড়ি লালমহন উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে। বাবা দিন মজুর। ধর্ষক মিরাজ ৭মাস যাবত তার সঙ্গে মোবাইলে প্রেম  নিবেদন করে আসছিল। ঘটনার দিন সোমবার সে তাকে দেখার জন্য চরফ্যাশন শেখ রাসেল  শিশু পার্কে আসতে বলে। মিরাজের কথায় সাড়া দিয়ে ভিকটিম প্রেমিকা ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল যোগে বিকেল ৫টার দিকে সেখানে এসে তাকে না পেয়ে হতাশায় পড়ে। পড়ে মিরাজের মোবাইলে ফোন দিলে সে তাকে উপজেলা চরকলমী ইউনিয়নের মায়ার দোন ব্রিজের উপর যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর ধর্ষক মিরাজ মটর সাইকেল ড্রাইভারকে পাওনা পরিশোধ করে বিদায় দেয়। পরবর্তিতে রাত সাড়ে ৮টায় মিরাজ প্রেমিকাকে জনৈক বারেকের বাড়ির পশ্চিম পাশের বাগানে নিয়ে তার ই”ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। পরে মিরাজ তারা বন্দু শরিফের সহযোগীতায় ভিক্টিমকে লালমহন পাঠায়। পথিমধ্যে চরফ্যাশন আসলে ভিক্টিম তার বাড়ি যেতে অস্বিকৃতি জানায়। এনিয়ে শরীফ ও ভিক্টিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি পার্শ্ববর্তী লোকজন বুঝতে পেরে শরীফকে আটক করে থানায় খবর দেয়। থানা পুলিশ শরীফের তথ্য অনুযায়ী মিরাজকে গ্রেফতার করে তাদের দুজনকে আদালতে সোপর্দ করে। মামলায় মিরাজের বন্দু শরীফকে সহযোগী হিসেবে আসামী করা হয়েছে।
দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান,এঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৪:০৬   ৪৭৬ বার পঠিত  |