রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নৈশ প্রহরী সাজ্জাদের খুটির জোর কোথায় -তদন্ত শেষে বেপরোয়া

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নৈশ প্রহরী সাজ্জাদের খুটির জোর কোথায় -তদন্ত শেষে বেপরোয়া
রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭



ফাইল ছবিএইচ,আর,চৌধুরী আদিত্য জাহিদ,চরফ্যাশন.
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে সরকারী খাদ্য গুদামে কর্মরত নৈশ প্রহরী সাজ্জাদুর রহমানের খুটিঁর জোর নিয়ে জনমহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শান্তিরঞ্জন দাস কেন তার পক্ষপাতিত্ব করে সাফাই গায় বিষয়টি এখন শশীভূষন থানার রসুলপুর এলাকায় সবার মুখে মুখে রয়েছে।
২৭ আগষ্ট ২০১৭ দৈনিক তৃতীয় মাত্রা, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক জনকন্ঠ , ২৬ আগষ্ট ভোলা টিভি, ভোলাবানী, ও প্রাইমটিভিতে সাজ্জাদুর রহমানের অনিয়ম দুর্ণিতী, সরকারী গাছ কর্তন করে নিজের বাসায় ফার্নিসার তৈরী, চারিদিকের নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়ালের ইট বাসায় ব্যবহার করা ও সাড়ে ৫ শত মেট্রিক টন পচাঁ চাল ঝালকাঠী থেকে এনে বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতরন করার অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পর আরসি ফুড ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে সরজমিন তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিলে আগষ্ট মাসের শেষ দিকে তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে চলে যাওয়ার পর অভিযুক্তদের দৌরাত্ব আরো বেড়ে গেছে এবং খাদ্য গুদামের পাশ্ববতী বাসিন্দাদের সাথে অশালীন আচরন করার অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত কমিটিকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। খাদ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শান্তিরঞ্জন দাস বিভিন্ন জায়গায় বলেন, প্রতিমাসে আমরা আরসি ফুড, এসি ফুডকে বড় অংকের টাকা দিতে হয়। এসব টাকা দিতে গিয়ে কিছুটা অনিয়মের আশ্রয় নেই। এছাড়া আমাদের উপরস্থ কর্মকর্তারা মাসোয়ারা নেয়ার কারনে আমাদের বিরুদ্ধে যেকোন তদন্ত হলো লোক দেখানো। একটি সুত্র জানান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শান্তিরঞ্জন দাস ভোলা কালী বাড়ি রোডে তার ¯ত্রীর নামে ৪৫ লাখ টাকা দিয়ে বিগত আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে বাড়ি করার জন্য জমি ক্রয় করেছেন, এছাড়া নৈশ প্রহরী তার শ্বশুড় বাড়ী নীলকমল এলাকায় ২১ লাখ টাকার জমি ক্রয় করেছেন। সরকারী ণীতিমালাকে অমাণ্য করে উপর মহলে ম্যানেজ করে তারা ২ জন ২ বছরের অধিককাল অবস্থান করে দুর্ণিতী ও অনিয়ম করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন। নৈশ প্রহরী সাজ্জাদুর রহমানের ২ ছেলেকে চরফ্যাশন ক্যাডেট স্কুল এ লেখাপড়া করে। তার বেতন ও সাংসারিক খরচ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে সাজ্জাদুর রহমান জানান, আমি সর্বসার্কুলে মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা বেতন পাই আর আমার ২ ছেলের লেখাপড়া বাবদ যাতায়াত সহ ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। তদন্ত টিমের সদস্যদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, আমরা সঠিক প্রতিবেদন দাখিল করবো । তদন্ত পরবর্তী উর্ধŸতন কর্তপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ না করার কারনে এলাকাবাসীর মনে সংশয় দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৬:৫০   ২৭৪ বার পঠিত  |