রবিবার, ২৫ জুন ২০১৭

ফেরী আলা উল্লেখ করে চাদঁপুর আশেক আলী কলেজের সহকারী অধ্যাপকের নামে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ফেরী আলা উল্লেখ করে চাদঁপুর আশেক আলী কলেজের সহকারী অধ্যাপকের নামে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা
রবিবার, ২৫ জুন ২০১৭



---

আবদুল মালেক ।।ভোলাবাণী।। বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ফেরী আলা উল্লেখ করে চাঁদপুর আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: কবির হোসেন এর নামে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠছে ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের রহিমা বেগম নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে।

বাদীনি এবং স্বাক্ষীগণের নাম ঠিকানা টবগী দালালপুর, ৪নং ওয়ার্ড দেয়া থাকলেও সরজমিনে গিয়ে তাদের কারোও হদিস মিলছে না। স্থানীয় মেম্বার ও এলাকাবাসী জানান এ সকল নামের কাউকে তারা চিনে না এবং মামলায় যে ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে তারতো প্রশ্নই আসে না। এদিকে কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপকের নামে এ ধরনের ষড়যন্ত্র মূলক মামলায় সচেতন মহল বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

সূত্রমতে জানা গেছে, ভোলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৩১-৭-২০১৬ ইং তারিখে মো: কবির হোসেন পিতা মো: নুরুল ইসলাম সাং কুয়া, থানা-কচুয়া, জেলা: চাঁদপুর কে ফেরী আলা উল্লেখ করে ১নং আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। যার সিআর নং- ২০৪/১৬। মামলায় উল্লেখ করে টবগী ইউনিয়নের দালালপুর, ৪নং ওয়ার্ড ফেরী করতে এসে ভাড়াটিয়া হিসাবে বাদীনির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়।

ওই টাকা নিয়ে মারামারি ঘটনাও উল্লেখ করা হয়। এদিকে জানা গেছে, এ মামলার ১নং আসামী মো: কবির হোসেন ০১-৯-১৯৯৬ সালে চাঁদপুর আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করে অদ্যবধি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে। যার ইনডেক্স নং- ৪১৪৫০৩। এদিকে ওই মামলায় ৭৭৪ স্মারক নং দেখিয়ে ৭নং টবগী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে কোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু সরজমিনে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এ ধরনের কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।

এ প্রতিবেদক সরজমিনে গিয়ে বাদীনি ও স্বাক্ষীগন কে অনেক খোঁজা খুজি করে পায় নি। ওই এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে এ ধরনের কোন লোকের হদিস মিলে নি। সচেতন মহল মনে করেন ষড়যন্ত্র এবং একটি মহলের ইন্দ্রেনে এ মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে। কারো স্বার্থ হাসিল করার উদ্যেশে এ ধরনের মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে মনে করেন তারা।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমার ওয়ার্ডে রহিমা বেগম জজে ইমন আলী নামের কোন মহিলা নেই। আমাকে সহ আমাদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ও প্যাড জাল করা হয়েছে।

চাঁদপুর আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: কবির হোসেন জানান, আমার বাড়ী চাঁদপুর, আমি বোরহানউদ্দিন ভালো করে চিনি না। কিন্তু আমাকে এ ধরনের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। আমি একজন শিক্ষক মানুষ। প্রতিষ্ঠান রেখে মামলায় হাজির হওয়ার জন্য চাঁদপুর থেকে ভোলা আসতে হয়। এতে আমি নানা রকম হয়রানী শিকার হচ্ছি। তিনি এ ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা থেকে যাতে মুক্তি পেতে পারে এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঠিক নজরধারী কামনা করেন এ শিক্ষক।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪১:২৬   ২৭৭ বার পঠিত  |