শনিবার, ১৩ মে ২০১৭

হুমকির মুখে দৌলতখান বাজার, আশ্রয়হীন হয়ে পরেছে মানুষ

প্রথম পাতা » দৌলতখান » হুমকির মুখে দৌলতখান বাজার, আশ্রয়হীন হয়ে পরেছে মানুষ
শনিবার, ১৩ মে ২০১৭



ভোলাবাণী: দৌলতখান প্রতিনিধি:

---ভোলা দৌলতখানে গত কয়েক দিনে মেঘনার নদী ভাঙ্গন ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা না নিলে দৌলতখান বাজার শহর রক্ষা করা যাবেনা। গত কয়েক দিনে দৌলতখান পৌরসভার এক, দুই, ও তিন নং ওর্য়াডের প্রায় দুইশত বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গেছে। মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পরেছে। দৌলতখান থানা থেকে মাত্র দুইশত গজ দুরে মেঘনা নদী, তার পাশেই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তার সথেই বেড়ীবাঁধ। বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে গেলে দৌলতখানকে আর রক্ষা করা যাবেনা। এমনটাই জানাচ্ছেন ভাঙ্গন কবলিত মানুষগুলো।

তারা কান্না কন্ঠে জানান, আমরা এখন কি করর, কোথায় যাব। মাত্র কয়েকদিন হলো ৫ তলা বিশিষ্ট একটি নতুন থানা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে সাত কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। হয়তো বা এমন ও হতে পারে উদ্বোধনের আগেই মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে সেই ভবনটি।

গত ২০০৩ সালে সাবেক এমপি আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহীম ৩২ কোটি টাকা ব্যয় করে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ও ব্লক পালানোর ফলে নদী ভাঙ্গন অনেকটা বন্ধ ছিল। সেই ব্লকটি আস্তে আস্তে নদীর গর্ভে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয় জন প্রতিনিধি জাকির হোসেন বাবুল জানান, নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য আমরা নিজ উদ্দ্যেগে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার বালি বস্তা ভরে নদীতে ফেলেছি। সেই বস্তাও নদীতে তলিয়ে গেছে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী কামালসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা অনেকটা আতংকের মধ্যে আছি, যে কোন সময় বেড়ীবাঁধ ভেঙে কয়েকশত দোকান- পাট ও ঘর বাড়ি নদীতে তলিয়ে যেতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে ব্লক ও জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান। বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে গেলে দৌলতখানের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ হাড়িয়ে যাবে, ধন দৌলতে ছিল দৌলতখানের নাম, হয়তো বা মানচিত্র থেকে চিরতরে দৌলতখানের নাম মুছে যাবে। ভোলার সব চেয়ে বড় ও সড়– এ বাজারটি প্রায় দেড় কিলোমিটার।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার বলেন, আমাদের কাছে কোন বরাদ্দ নেই, জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার জন্য এগারো কোটি টাকার প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছে, মন্ত্রী মোহদয় সুপারিশ করলে কাজটি হতে পারে বলে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১০:২৩:১৮   ৩০২৭ বার পঠিত  |