১৯০ কিলোমিটার এলাকায়মেঘনা তেতুলিয়ায় মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ১৯০ কিলোমিটার এলাকায়মেঘনা তেতুলিয়ায় মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা
শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪



খলিল উদ্দিন ফরিদ।। ভোলাবাণী।।

ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মার্চ-এপ্রিল এই ২ মাস ইলিশের অভয়াশ্রমে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

ঘাটে ট্রলার বেঁধে বেকার জেলেরা।২৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ এলাকায় সব ধরনের জাল ফেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে অভয়াশ্রমগুলোয় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারীদের ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভোলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

জাটকা সংরক্ষণে ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

নিষেধাজ্ঞার এই দুই মাস মাছ শিকার বন্ধে জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। গঠন করা হয়েছে মনিটরিং টাস্কফোর্স, করা হয়েছে মাইকিং, লিফলেট বিতরনসহ প্রত্যেক উপজেলার নদীর পাড়ে অভয়াশ্রম এলাকায় মতবিনিময় সভা। এ নিষেধাজ্ঞায় ভোলা জেলার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৫ জন নিবন্ধিত জেলের ৮৯ হাজার ৬শ পরিবারের জন্য ৭ হাজার ১৬৮ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নিষিদ্ধ সময় সরকারিভাবে দেওয়া জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে প্রতি বছরেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের সত্যতা পেলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনের পর দিন অনিয়ম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ জেলেদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করে।

এ অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নিষেধাজ্ঞা চলমান সময়ে সরকারিভাবে বরাদ্দের চাল পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় থাকেন সাধারণ জেলেরা। বেকারত্বের এই ২ মাসে পরিবার নিয়ে কীভাবে দিন কাটবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ সবার কপালে।

ভোলার ইলিশা মাছ ঘাটের জেলে মো. আলাউদ্দিন ও তুলাতলির জেলে আকবর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব লিখে কী হবে? আপনারা লিখে যাচ্ছেন, চুরি তো বন্ধ হয় না। যদি প্রশাসন চুপ থাকে, তাতে লাভ হচ্ছে কী।

অপরদিকে দৌলতখান মাছ ঘাটের জেলে মো. সফিজল বলেন, জেলেদের চেয়ে স্থানীয় নেতা, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের লোকেরা চাল বেশি নিয়ে যায়। প্রকৃত জেলেরা পায় না। প্রতি বছরের মতো

এবারও যেন অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে না হয় সেই আঁকুতি জেলে পরিবারগুলোর।

এ বিষয় ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডের জেলেদের তালিকা যাচাই করে জেলে নয় এমন লোককে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে প্রকৃত জেলেদের তালিকার জন্য মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলেদের প্রকৃত তালিকা থাকলেই জেলে পুণর্বাসন প্রকল্প সফল করা সম্ভব।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, চাল বিতরণ নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলেরা যেন সঠিকভাবে চাল পায় সে জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলেদের তালিকায় স্বচ্ছতা আনার কাজও করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে অভয়াশ্রমগুলোতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। জেলে পুনর্বাসন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ভোলা জেলার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৫ জন জেলেকে মাসে ৪০ কেজি করে ২ মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ৭ হাজার ১৬৮ টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৮:১৮   ৯৬ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪মনপুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৫ জন ॥ মোট প্রার্থী ১১ জন
তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি ॥
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
এ কে ফজলুল হককে কেন ‘শেরে বাংলা’ বলা হয়?
জাতীয় পর্যায়ের লোকনৃত্য প্রতিযোগীতায় ভোলার মেয়ে স্বস্তিকার ২য় স্থান অর্জন
ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ

আর্কাইভ