রফিক সাদী, ভোলাবাণী: ভোলার তজুমদ্দিনে হরিণের মাংসসহ পাঁচ শিকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১১৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি দোনালা বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার গুরিন্দা বাজার এলাকা হয়ে বাসনভাঙ্গার চর থেকে হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে তজুমদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করে শনিবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মেঘনা বেষ্টিত বাসনভাঙ্গার চর থেকে একদল শিকারী হরিণ শিকার করে নিয়ে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রায় ১৫ কেজি হরিণের মাংসসহ গুরিন্দা বাজার এলাকা থেকে ৫ শিকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এসময় তাদের কাছ থেকে লাইসেন্সকৃত একটি দোনালা বন্দুকসহ ১১৮ রাউন্ড গুলি ও ৭ টি ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার নেজামল হক শান্তু চৌধুরী (৭৫), তার দুই ছেলে হাসান চৌধুরী (৪০), এন হোসেন চৌধুরী (৪৫), ভোলা সদরের নুরে আলম (৪০) ও লক্ষিপুর রামগতির মোঃ শরীফ (২২)।
আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিতে একটি প্রভাবশালী মহল ব্যাপক তদবীর চালালেও শনিবার সকালে তাদের আলামতসহ কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শাহিন মন্ডল জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে যাথাযথ আইনগত ব্যবস্থা মাধ্যমে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। এই চক্রের অন্য সদস্যদের আটক করতে আমাদের পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত মেঘনা নদীর মাঝে জেগে উঠা বিভিন্ন চরে অবাধে হরিণ শিকার করে আসছে। চক্রটি প্রায়ই বিভিন্ন চর থেকে হরিণ শিকার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তজুমদ্দিন থানায় কর্মরত সাবেক এক ওসির সাথে পারিবারিক সুসম্পর্কের সুত্র ধরে এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় চরাঞ্চলে অবাধে হরিণ শিকার করে আসছিলো।
গত বছর এই চক্রটি হরিণের মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় মুচিবাড়ি কোনা এলাকায় স্থানীয়রা তাদের আটক করলেও তৎকালীন ওসির সহায়তায পার পেয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩০:৩১ ৯১১ বার পঠিত |