রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

দাতার খতিয়ানে জমি না থাকলেও নামজারি খতিয়ান পেয়েছেন গ্রহীতা হয়রানিতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিবার

প্রথম পাতা » দক্ষিণ আইচা » দাতার খতিয়ানে জমি না থাকলেও নামজারি খতিয়ান পেয়েছেন গ্রহীতা হয়রানিতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিবার
রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩



চরফ্যাশন অফিস॥ভোলাবাণী।। জমি দাতা আবদুস সাত্তার তার মালিকানাধীন সব সম্পতি বিক্রির পর তার খতিয়ান দশমিক পঞ্চাশ শতাংশ জমি থাকলেও  তার কাছ থেকে একত্রিশ শতাংশ জমি কিনে ঐ জমির নামজারি খতিয়ান পেয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন। আর এই খতিয়ান হাতে পেয়েই তিনি প্রায় ৪০বছরের ভোগদখলীয় মালিক অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদারের জমি দখলের পায়তারায় লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে।। যদিও চরফ্যাশনের চর মানিকা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা(তহশীলদার) মো. মারুফ হোসেন তার ভুলে খতিয়ানটি সৃজিত হয়েছে জানিয়ে বলেছেন, দাতার খতিয়ানে জমি নাই তা তিনি খেয়াল করেন নি। এ বিষয়ে একটি মিস কেইছ চলমান আছে। ভুলে সৃজিত ফরিদ উদ্দিনের নামের ৩১শতাংশ জমির নামজারি খতিয়ানটি বাতিলের  প্রস্তাব করা হয়েছে।

অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদার  রবিবার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

 অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদার গতকাল রবিবার নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ১৯৭৯ সনে তিনি  চরফ্যাশন উপজেলার চর আইচা মৌজার ৫৫০ খতিয়ানে জনৈক সানু মিয়ার কাছ থেকে ৮২ শতাংশ জমি খরিদ করে প্রায় ৪০ বছর যাবত ভোগ দখলে আছেন। ওই খতিয়ানে এক একর ৪৬শতাংশ জমির রেকডীয় মালিক ছিলেন সানু মিয়ার ভাতিজা আবদুস সাত্তার। যা থেকে আবদুস সাত্তার ১৯৯৬ সনে নুরুল আমিন মুন্সির কাছে সাড়ে ৬২ শতাংশ, ১৯৯৮ সনে শাহ আলমের কাছে ৬২ শতাংশ এবং একই বছরে জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২১ শতাংশসহ মোট ১ একর ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি সাব কবলা বিক্রি করেন। সংশ্লিষ্ট তিন ক্রেতাই তাদের জমি নিজ নিজ নামে জমাখারিজ করে নেন। ফলে আবদুস সাত্তারের খতিয়ানে অবশিষ্ট জমি ছিল দশমিক ৫০ শতাংশ মাত্র।
ফলে নুরুল আমিন হাওলাদার ২০২২সনে ২৭০-এফ/২০২১-২০২২ মিস কেইচের মাধ্যমে ফরিদ উদ্দিনের নামীয় ৩১ শতাংশ জমির নামজারী বাতিল চেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) বরাবর আবেদন করেন। মিস কেইচ ও সার্ভেয়ারের তদন্ত চলমান থাকলেও ফরিদ উদ্দিন নুরুল আমিন হাওলাদারের  জমি দখল করে বাড়িঘর তৈরী করছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চর মানিকা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, ভূল হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মিস কেইচ চলমান আছে। ভুলে সৃজিত ফরিদ উদ্দিনের নামের ৩১শতাংশ জমির নামজারি খতিয়ানটি বাতিলের  প্রস্তাব করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মতিন খান জানান, এবিষয়য়ে একটি মিস কেইচ চলমান আছে। কাগজ পত্র যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:১০:৩১   ৭২ বার পঠিত  |