হেলাল উদ্দিন লিটন।।ভোলাবাণী।।তজুমদ্দিন ॥
মনোরম পরিবেশ, নদীর ঢেউ আর বাহারি ডিজাইনের শহর রক্ষা বাঁধের ব্লকে নির্মিত হয়েছে মেঘনার পাড়। এ যেন পর্যটকের হাতছানি। নানান রঙে সাজানো ব্লকের উপর বসে মেঘনার বিশাল জলরাশির দিকে দৃষ্টি গেলে নিমিশেই যে কারোই মন জুড়িয়ে যায়। ঢেউয়ের তোড়ে হেলেধূলে মেঘনায় মাছ শিকার করে জেলেরা। শীতল বাতাস ও নদীর ডেউ এসে আকৃষ্ট করে বিকেল বেলায় ঘুরতে আসা পর্যটন প্রেমীদের হৃদয়। এসব অপরুপ সুন্দর্যের দৃশ্য ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা পাড়ের বেড়িবাঁধে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নদী ভাঙন রোধে তজুমদ্দিন উপজেলা শহর রক্ষা বাঁধে প্রায় ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সিসি ব্লক স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নানা রঙ্গে রঙ্গীন ব্লকের কারণে পাল্টে গেছে নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধের সার্বিক চিত্র। বেড়িবাঁধের কাজে ব্যবহৃত ব্লক সাজে সাজানো হয়েছে বাহারি রঙে। তজুমদ্দিনের মহিষখালী থেকে দক্ষিণ দিকে কেয়ামূল্যাহ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার বিস্তৃত বেড়িবাঁধ এখন পর্যটক প্রেমীদের জন্য সম্ভবনাময় পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।সারিবদ্ধভাবে বসানো ব্লকের উপর করা হয় গোলাপী, নীল, সবুজ ও হলুদ রঙ। ৪টি রঙে ব্লকগুলো সাজানো হয়েছে বাহারি সাজে। নানা সৌন্দর্যের কারণে স্থানীয়দের পাশাপাশি পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকেও পর্যটর্ন পিপাসু মানুষগুলো তার পরিবার পরিজন নিয়ে বিকাল বেলা বাহারি রঙের ব্লকের বসেই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছে।
বিকাল বেলা ঘুরতে আসা তজুমদ্দিন উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন দে বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আগামীর সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র তজুমদ্দিনের মেঘনার পাড়ে ভালোবাসার টানে ছুটে যাই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি মহোদয়ের ঐক্যান্তিক প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলের মানুষগুলো ভাঙনের ভয়াল থাবা থেকে যেমন রক্ষা পেয়েছে তেমনি ব্লকের সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা। তাই হতে পারে এটিই আগামীর পর্যটক স্পট।
ব্লক পাড়ে ঘুরতে আসা তজুমদ্দিন উপজেলা সহকারী (প্রাথমিক) শিক্ষা অফিসার ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ বলেন, তজুমদ্দিনে অন্য কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় পর্যটনপ্রেমীরা বিকাল বেলায় অবসর সময়ে নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধে বাহারী রঙের ব্লকে ঘুরতে আসে পরিবার পরিজন নিয়ে। যে কারণে ভ্রমণ পিপাসুর মনের খোড়াক যোগাতে সক্ষম বেড়িবাঁধটি। এক কথায় তজুমদ্দিনের বেড়িবাঁধে রঙ-বেরঙের যেসব ব্লক বসানো হয়েছে তাতে এই সৌন্দর্যের মাত্রা অনেকগুন বেড়ে গেছে। পাশাপাশি একটি টেকশই বেড়িবাঁধও নির্মাণ হয়েছে।
হোসনেআরা চৌধুরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন সুমন বলেন, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের মানবিক প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলের ভাগ্য উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজের অংশ হিসেবে নদী ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া নেওয়ায় বদলে গেছে নদীর পাড়ের মানুষের ভাগ্য। যেখানে মানুষের ভিটেমাটি হারনোর ভয় ছিল নিত্যদিনের, সেই নদীর পাড় এখন এক অপরূপ প্রাকৃতিক পর্যটন স্পটের পাশাপাশি মানুষের অবকাশ যাপনের উত্তম স্থানে পরিনত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৬:৩০ ১১৯ বার পঠিত |