মোঃসেলিম রানা।।ভোলাবাণী।দক্ষিণ আইচা প্রতিনিধিঃ পূর্নিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচার বিভিন্ন এলাকায় মানবতার জীবনযাপন পার করছেন হাজারও মানুষ। এতে চরমানিকা , বিছিন্ন দ্বীপ ঢালচর, কুকরি মুকরি, চরপাতিলা,নজরুল নগর সহ পানি পন্দী রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্ভোগে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার মাছের ঘের, সবজি ক্ষেত ও ফসলি জমি ।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে মেঘনা নদী শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। অন্যান্য নদ-নদীর ভাঙ্গন রোধ এবং বেরীবাঁধ নির্মাণ করলেও প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও এইসব এলাকায় নদীর স্থায়ী ভাঙ্গনরোধ এবং বেরীবাঁধ নির্মাণ করার উপর মহলের কোনো ভূমিকা নাই বলে জানান স্থানীয়রা। ফলে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে মেঘনা নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার(২৩জুলাই)চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাজেদ মুন্সী জানান, মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আমার পুকুর, লেবুর বাগান, পটল ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে আগামী দু-একদিনের মধ্য নিচু এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে যাবে।চরফ্যাসন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকোশলী মো.মিজানুর রহমান জানান,পূর্নিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তেতুলিয়া নদীর ১০ সেন্টিমিটার, এবং মেঘনা নদীর ৬৯ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৯:৫৫ ৯৩ বার পঠিত |