শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭

তাড়া খেয়ে ভোলায় আশ্রয় নিলেন সাবেক এমপি জসিম

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » তাড়া খেয়ে ভোলায় আশ্রয় নিলেন সাবেক এমপি জসিম
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭



---

ভোলাবানী ডেস্ক: ভোলার লালমোহন থেকে ‘মৌমাছি’ বাহিনীর তাড়া খেয়ে জেলা শহরে এসে বিপদমুক্ত হন আওয়ামী লীগ দলীয় ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন।

মেজর (অব.) জসিম জানান, ঢাকা থেকে মঙ্গলবার তিনি নিজ এলাকা লালমোহন ও তজুমদ্দিন আসেন।

প্রথমে তিনি তজুমদ্দিন শিবপুর খাসেরহাটের আগুনে পুরে যাওয়া পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরে চতলা বেড়িবাঁধের মানুষদের সঙ্গে দেখা করে মঙ্গলসিকদার হয়ে লালমোহনের গজারিয়ায় যান।

বিকালে চরফ্যাশন সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র আবদুল মন্নানের জানাজায় অংশ নিয়ে রাতে গজারিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে আসেন। রাতে তিনি লালমোহন পৌর এলাকার বাড়িতে ফেরার সময় খবর পান তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। বুধবার সকালে লর্ডহার্ডিঞ্জ মাদ্রাসা বাজারে গেলে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের তোপের মুখে পড়েন। বাধ্য হয়ে মেজর জসিম নিজের পিস্তল তাক করে কোনোমতে এলাকা ছেড়ে আসেন।

এমন কি লালমোহন উপজেলা সদরে আসার পথে বিএনপির যেসব ক্যাডার ইদানীং আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে যারা মৌমাছি বাহিনী হিসেবে পরিচিত ছিল, ওই সব বাহিনী মোটরসাইকেলে তাকে তাড়া করে। পরে তিনি ডাউরী ব্রিজ অতিক্রম করে দ্রুত একটি খামারে গিয়ে আশ্রয় নেন।

পথে বিভিন্ন স্থানে তার গাড়ির গতিরোধ করা হয়। এ সময় কয়েক যুবক ছুটে এসে তাকে জানান, তারা নিরুপায়। ওপরের নির্দেশ রয়েছে মেজর জসিমকে এলাকা থেকে বের করে দিতে হবে। পথে ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্স নামের এক যুবক তাকে গালিগালাজ করতে করতে তাড়া করেন।

মেজর জসিম জানান, তিনি কিছু যুবকের তার পরিচয়, তার কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় কিছু যুবক লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে আসার চেষ্টা করে।

মেজর জসিম জানান, তিনি এবং তার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে এলাকায় আসেন। ছেলের সামনেই তাকে নাজেহাল করা হয় উল্লেখ করে তিনি জানান, এটা কোন রাজনীতি। এলাকায় আসা যাবে না।

এদিকে ভোলায় এসে তিনি সংবাদ কর্মীদের তার ওপর হামলার বিষয় তুলে ধরেন। এমন কি বিষয়টি তিনি জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে তুলে ধরেন বলেও জানান।

মেজর জসিম জানান, তিনি মেজর হাফিজ উদ্দিনকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। পরে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়ার সময় মেজর হাফিজের দায়ের করা মামলায় তাকে সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দিতে হয়। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবেই দলের জন্য কাজ করছেন বলেও জানান।

লালমোহন থানার ওসি হুমায়ুন কবির ও তজুমদ্দিন থানার ওসি শাহীন ভোলাবানী কে জানান, মেজর জসিমের ওপর হামলার বিষয় তাদের কেউ কিছু জানাননি। এমন কি মেজর জসিমও তার নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কোনো আবেদন করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৯:৩৭   ২১৩ বার পঠিত  |