তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড সংকটে রোগীদের দূর্ভোগ চরমে ॥

প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন » তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড সংকটে রোগীদের দূর্ভোগ চরমে ॥
রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০



হেলাল উদ্দিন লিটন।।ভোলা বাণী।।তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥

প্রতিদিন রোগীর চাপ বাড়ায় ভোলার তজুমদ্দিনে ৩১ শয্যা সরকারি হাসপাতালটিতে বেড সংকটের কারণে সেবা নিতে আসা রোগীদের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবার মান বাড়ায় রোগীর ভীড় লেগেই থাকে। রোগীদের এমন চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মিদেরও।

ছবি ক্যাপশন ঃ হাসপাতালে বেডে সংকটে রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন বারান্দার ফ্লোরে ও প্রবেশ পথে।

প্রতিদিন বেডের তুলনায় অনেক বেশী রোগী ভর্তি থাকায় ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। ধূলা-বালি ও ফ্লোরের ঠান্ডায় নতুন কোন রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসরা।হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, ১৯৭৪ সালের দিকে উপজেলায় বসবাসরত ৬০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা বিষয়টি চিন্তা করে ৩১ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে তজুমদ্দিন উপজেলা হাসপাতলটি। এরপর থেকে জনসংখ্য বৃদ্ধির সাথে সাথে রোগীর চাপ বাড়লেও বাড়েনি হাসপাতালের বেডের সংখ্যা। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবার মান বাড়ায় রোগীর চাপও বাড়ছে। গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালটিতে ৫০ জনের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। যে কারণে ৩১ শয্যার বাহিরের রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে হয়। হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নেয়া রোগীরা ফ্লোরের ধূলা-বালিতে ও ঠান্ডায় জনিত নতুন কোন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশংকা প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। রোগীর এমন চাপে ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ২০১৮ সালে ৫০ শয্যায় উন্নতি করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করলেও আর্থিক ও জনবল সংকটের কারণে ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু করতে পারছেনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

---

শনিবার সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে ৫৮জন রোগী ভর্তি রয়েছে। বেডের বাহিরে বাকি ২৭জন রোগীকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে অতিরিক্ত বেড বিছিয়ে। কোন কোন রোগী মেঝেতে জায়গা না পেয়ে প্রবেশ পথে ও পাশের বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিদিন হাসপাতালের বহিঃবিভাগে ৩শত ৫০জন থেকে ৪শতজন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নেয়া নুর নাহার ও সালাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে বেড না থাকায় আমাদেরমত অনেককে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। ফ্লোরের ধূলা বালি শরীরের সাথে মিশে যায় এবং রাতে ফ্লোরের পাকা থেকে প্রচুর ঠান্ডা লাগে। তারপরও কিছু করার নেই সুস্থ্যতার জন্য চিকিৎসা নিতে হবে।

ছবি ক্যাপশন ঃ হাসপাতালে বেডে সংকটে রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন বারান্দার ফ্লোরে ও প্রবেশ পথে।

হাসপাতালে কর্মরত নার্স শারিকা বেগম বলেন, অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে আমাদের কষ্ট হয়। তবুও রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে আমরা সবাই নিরলসভাবে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
হাসপাতালের আরএমও ডা. হাসান শরীফ বলেন, ৩১ শয্যা হাসপাতালের জনবল দিয়ে অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে আমরা হিমশিহ খাচ্ছি। তবুও আমরা আমাদের মতো করে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি একদিন এ সমস্যার সমাধান হবে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল বলেন, আর্থিক ও জনবল কাঠামো অনুমোদন না থাকায় ৫০ শয্যা চালু করা যাচ্ছে না। তবুও কিছু করার নেই, বেড সমস্যার কারণে রোগী ফেরানো যাবে না। যত কষ্টই হোক রোগীদের সেবা দিতে হবেই। আর্থিক ও জনবল সংকটের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি লিখিছে। অনুমোদন পেলে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করি।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৪২:৫৯   ১৪১ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

তজুমদ্দিন’র আরও খবর


তজুমদ্দিনে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ৩শ কেজি পাঙ্গাসের পোনা আটক ॥
শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন মুফতি মাও: মুজির উদ্দিন
তজুমদ্দিনে ৮৫৬টি গাছ কেটে রাস্তা চওড়া করার প্রস্তুতি সম্পন্ন ,স্থানীয়দের ক্ষোভ
তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি ॥
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
তজুমদ্দিনে গণহত্যা দিবস পালিত ॥
তজুমদ্দিনে প্রতিবন্ধী শিশুকে শিকল দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ॥
তজুমদ্দিনে সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
তজমদ্দিনে পল্লীসেবার আয়োজনে বঙ্গবন্ধু’র জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত ॥
তজুমদ্দিনে সরকারি ২৪ বস্তা চাল উদ্ধার ॥ তদন্ত কমিটি গঠন

আর্কাইভ