হেলাল উদ্দিন লিটন।।ভোলাবাণী।।তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥
ভোলার তজুমদ্দিনে ফায়ার সার্ভিসের লিডার কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফায়ার লাইসেন্স প্রদানে অতিরিক্ত ফি আদায় ও অবৈধ (আগুন নেভানোর যন্ত্র) সিলিন্ডার ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, তজুমদ্দিনের ব্যবসায়ীরা ফায়ার লাইসেন্স করার জন্য তজুমদ্দিন ফায়ার স্টেশনে গেলে সেখানকার লিডার মোঃ কামাল উদ্দিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফায়ার লাইসেন্স প্রদান ও অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বিক্রির নামে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা হারে আদায় করেন।
ভুক্তভোগী জুয়েল নামে একজন পেট্রোল ব্যাবসায়ী জানান, তিনি তজুমদ্দিন ফায়ার স্টেশনে লাইসেন্স করার বিষয়ে পরামর্শ করতে গেলে তাকে একটি আগুন নেভানোর যন্ত্র ফায়ার স্টেশন থেকে দেওয়া হয় এবং লাইসেন্স করা বাবদ মোট ৫হাজার টাকা দাবি করেন লিডার মোঃ কামাল উদ্দিন। পরবর্তীতে তিনি বিকাশের মাধ্যমে লিডার কামালকে ৪৯০০ টাকা পাঠিয়ে দেন। টাকা পাওয়ার পর ব্যবসায়ি জুয়েলকে লাইসেন্স পৌঁছে দেওয়া হয়। লাইসেন্স অনুমোদনের স্থানে জেলার উপ পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন স্বাক্ষর করেন।
বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদের দোকানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ফায়ার লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। লাইসেন্স না থাকলে পুলিশের জামেলা পোহাতে হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তজুমদ্দিন ফায়ার স্টেশনের লোকেরা আমাদের কাছ থেকে লাইসেন্স প্রদানের নামে ৪হাজার থেকে ৫হাজার টাকা হারে আদায় করে নেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফায়র লাইসেন্স বাবদ উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫০১ টাকা মূল্যের লাইসেন্স অনুমোদন করবেন জেলা উপ-পরিচালক। এর বেশি মূল্যের লাইসেন্স গুলো বিভাগীয় অফিস থেকে অনুমোদন নিতে হয়। তজুমদ্দিনের ব্যবসায়ীদের যে লাইসেন্স গুলো প্রদান করা হয়েছে সেগুলো জেলা থেকে অনুমোদন করা হয়েছে। সেগুলোর সরকারি ফি সর্বো”চ ৫০১ টাকা।এ বিষয়ে জানতে চাইলে তজুমদ্দিন ফায়ার স্টেশন অভিযুক্ত লিডার কামাল জানান, তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে এড়িয়ে যান।
তজুমদ্দিন ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার আসাদুজ্জামান ছুটিতে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জেলা উপ-সহকারি-পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন জানান, লাইসেন্স প্রদানে সরকারী ফির বাহিরে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। কেউ নিয়ে থাকলে সেটা অনিয়ম দূর্ণীতি। ফায়ার সার্ভিসের কোন কর্মি (আগুন নেভানোর যন্ত্র) সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারবে না। তবুও যদি কেউ করে থাকে তাহলে বিভাগীয় নীতিমালা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বলেন, আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তরে আলোচনা করবো। আমাদের বাজার ব্যবসায়ীদের যারা হয়রানি করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫২:১৪ ১৩১ বার পঠিত |