মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভোলায় নদ-নদীর পানি বিপৎ সীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।।নিচু এলাকা প্লাবিত।

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভোলায় নদ-নদীর পানি বিপৎ সীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।।নিচু এলাকা প্লাবিত।
মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০



স্টাফ রিপোর্টার ॥ভোলাবাণী।।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও আমবশ্যার প্রভাবে ভোলায় নদ-নদীর পানি বিপৎ সীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে উপকূলের নিচু এলাকা। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

ভোলায় নদ-নদীর পানি বিপৎ সীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।।নিচু এলাকা প্লাবিত।

সোমবার (২১ সেপ্টম্বর) দুপুর থেকে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়। এতে তৃতীয় দিনের মত চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কলাতলীর চর, চর যতিন, সোনার চর, চরপাতিলা, ঢালচর, রামদাসপুর, মদনপুর, মাঝের চর, গঙ্গাকীর্তি, বলরাম শুড়া, চর জহিরুল উদ্দিন, কচুয়া খালির চরসহ নিুাঞ্চলের অন্তত ২০ এলাকার মানুষ।ভোলার বি”িছন্ন মনপুরায় উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনার পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হওয়ায় উপকূলের চারটি গ্রামের নি¤œাঞ্চলসহ আমন ফসলের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে দূর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ।

এদিকে জোয়ারের পানিতে মনপুরা উপকূলের বি”িছন্ন বেড়ীবাঁধহীন কলাতলীর চর ও চরনিজামের ফসলের ক্ষেতসহ নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সমস্ত এলাকার মানুষ জোয়ারের পানিতে দিনে-রাতে দু’বেলা পানিবন্দি অব¯’ায় থাকতে হ”েছ।

মেঘনার পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো)। এর আগে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অমবস্যার প্রভাবে জোয়ারের পানিতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, সোনারচর, চরযতিন, চরজ্ঞান গ্রামের নি¤œাঞ্চল ২-৩ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকার আমন ফসলের ক্ষেত প্লাবিত হয়। চারগ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে দূর্ভোগে পড়েছেন।

এই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, উজানের নেমে আসা ঢল ও অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনার পানি বিপদসীমিার ১৯ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হওয়ায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেলে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হয়েছিল।

একদিকে বৈরী আবহাওয়া অন্যদিকে জোয়ারের পানিতে কস্টে দিন কাটাচ্ছেন উপকূলের বাসিন্দারা। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রাস্তা-ঘাট, পুকুর-ঘের, ফসলি জমি ও বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন পানি বন্দি মানুষ। প্রতিদিন দুই বার করে পানি উঠে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
মদনপুর এলাকার বাসিন্দা লুৎফর পাটোয়ারি বলেন, জোয়ারের পানিতে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। মানুষের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, তলিয়ে গেছে ফসল। দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌলশী মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। উজানের পানির ঢল ও আমবশ্যার প্রভাবে নদীর পানি বেড়েছে। এতে বাঁধের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থা আরো দু’দিন থাকতে পারে। জানা গেছে, গত দুই দিন মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিলো। এ নিয়ে টানা ৩ দিন প্লাবিত হলো উপকূল।

বাংলাদেশ সময়: ৬:৫৫:৩৩   ৩২৫ বার পঠিত  |