রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

লালমোহনে মুচি পেশা অস্তিত্ব সংকটে…

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » লালমোহনে মুচি পেশা অস্তিত্ব সংকটে…
রবিবার, ২৮ জুন ২০২০



সাব্বির আলম বাবু।।ভোলা বাণী।।বিশেষ প্রতিনিধি।।
সমগ্র বাংলাদেশের মতো তাদেরকে রবিদাস বা দলিত সম্প্রদায় বলেও পরিচয় দেয়া হয় তবে মুচি সম্প্রদায় বলেই তারা সমোধিক পরিচিত। এক সময়ের বহুল প্রচলিত এই পেশার অস্তিত্ব সমগ্র বাংলাদেশের মতো লালমোহনেও আজ বিলীনের পথে। সাধারনত জুতা সেলাই করাকেই আমরা মুচিদের প্রধান কাজ বলে গন্য করি তবে এই কাজ ছাড়াও তারা আরো নানাবিধ কাজ করে থাকে

লালমোহনে মুচি পেশা অস্তিত্ব সংকটে…

যেমন - ব্যাগ সেলাই, ছাতা সেলাই, জবাইকৃত পশুর চামরা কাটা ও সংগ্রহ করা ইত্যাদি। এমন একটা সময় ছিল যখন মুচি ছাড়া কোন জায়গাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার কথা চিন্তা করা যেত না। তপ্ত দুপুরে বা বর্ষাতে বিভিন্ন পথে-মাঠে-হাট-বাজারে যেকোন সময় জুতা ছিড়ে গেলেই আমাদের একমাত্র সহায় হতো মুচি। অথচ গ্রাম কিংবা শহরের এক সময়ের বিপদে প্রয়োজনীয় বন্ধু মুচি সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব আজ সংকটে। নানা কারনে ও সমস্যায় তারা জর্জরিত। এ বিষয় আলাপকালে সুবল রবিদাস বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মুচিরা নিচু বর্ন হিসাবে পরিগনিত হওয়ায় সমাজে আমাদর মূল্যায়ন করা হয় না এবং মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হয় না। গোবিন্দ রবিদাস বলেন, এই পেশাতে পরিশ্রম অনুপাতে পারিশ্রমিক খুবই কম। ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া বা চাকরিতে গেলে বৈষম্যের শিকার হয়। জগদীশ রবিদাস বলেন, এখন আধুনিক যুগ আসায় ও জন সাধারনের আয় ইনকাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জুতা সেলাইয়ের জন্য আসা লোকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাছাড়া পশু চামড়ার বাজার দর কমে যাওয়া ও ট্যানারী শিল্পের মালিকদের চামড়া কিনতে অনাগ্রহের কারনে অনেকেই বংশানুক্রমিক চলে আসা মুচি পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই পেশার সঙ্গে জড়িত সকলেই জানান যে, সরকারী বা বেসরকারী ভাবে যদি মুচি সম্প্রদায়ের পুনর্বাসন করা হয় তাহলে এদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে, পেটের টানে-জীবিকার তাগিদে পোশা বদল করবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৬:৪৪   ২৪৩ বার পঠিত  |