ভোলাবাণী নিউজ ডেক্সঃ
ফেনীর জনপদে সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের অপকর্মের কারণে পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ছে ঐতিহ্যবাহী পুলিশ বাহিনীর অনেক সফলতার গল্প। রোববার (১৬ জুন) মোয়াজ্জেম গ্রেফতার হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
২০১৩ মার্চ ফেনী মডেল থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেন মোয়াজ্জেম হোসেন। তখন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতার ভাগিনা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। তবে জামায়াত কানেকশনের অভিযোগে একই বছরের ডিসেম্বরে জেলার ছাগলনাইয়া থানায় বদলি করা হয় তাকে।
২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর ঘুষ কেলেঙ্কারি, স্বর্ণ চুরি, মামলার আলামত চুরি করে বিক্রি করে দেয়া, সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়া, টোকেন দিয়ে নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা থেকে মাসোয়ারা আদায়, ভুয়া মামলা দিয়ে অর্থ আদায়সহ চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগে ছাগলনাইয়া মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার হন মোয়াজ্জেম হোসেন।
২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি এ জেলায় তৃতীয় বারের মত সোনাগাজী মডেল থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। গত ১০ এপ্রিল নুসরাত হত্যাকাণ্ড ঘটনায় কলঙ্কের বোঝা নিয়ে ফেনী থেকে আবারও বিদায় নেন তিনি। তবে তার নির্যাতনের ঘটনা এখন মানুষের মুখে মুখে।
ফেনী আইন কলেজের অধ্যক্ষ মনে করেন, পুলিশ বাহিনীর অর্জন সুরক্ষায় মোয়াজ্জেমদের এখনই রুখে দেয়ার সময়।
ফেনী ল কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম মাজহারুল হক চৌধুরী বলেন, পুলিশ বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা নিজেদের স্বার্থে পুলিশের নাম ব্যবহার করছে। পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে এটা প্রতিহত করা উচিত।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাতের পূর্বেই আত্মহত্যার মানসিকতা প্রমাণের জন্য ৮ এপ্রিল ওসি মোয়াজ্জেম নিজেই তার মোবাইলে ২৭ মার্চ রেকর্ড করা নুসরাতের ভিডিওটি গণমাধ্যম কর্মীদের সরবরাহ করেন।
বেআইনি ভাবে নুসরাতের ভিডিওটি ধারণের অপরাধের মামলায় রোববার পুলিশ ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৩:২২ ২৭৪ বার পঠিত |