সোমবার, ২০ মে ২০১৯

শশীভূষনে সীমানা বিরোধে প্রতিপক্ষের গাছ কাটার অভিযোগ

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শশীভূষনে সীমানা বিরোধে প্রতিপক্ষের গাছ কাটার অভিযোগ
সোমবার, ২০ মে ২০১৯



---চরফ্যাশন অফিস,ভোলা বানী ॥
চরফ্যাশনের শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ওমরাবাজ গ্রামে জমি নিয়ে সীমানা বিরোধের জের ধরে বিধবা জীবন নেছা গংদের সৃজিত বেশকিছু রেন্ট্রি গাছ  প্রতিপক্ষ শাহ আলম গংরা কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এনিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে দু’পক্ষের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে।
বিধবা জীবন নেছা বলেন, ২৫ বছর আগে ভাসুর হাজী আমিরুল ইসলামের নিকট থেকে ৫৪ শতাংশ জমি কিনে দখল বুঝে পেয়ে ভোগ দখলে আছি। বিগত চারবছর আগে খালু শফিউল্যাহ মহাজন গংদের নিকট থেকে আরো ৯৬ শতাংশ জমি কিনি এবং দখল বুঝে পেয়ে ভোগ দখলে আছি । কিন্তু প্রতিপক্ষ শাহ আলম গংরা আমাদের বাড়ীর পিছনের অংশে অন্য এক পক্ষ ফারুক গংদের নিকট থেকে ১২ শতাংশ জমি কিনে।ওইজমি দখল করতে গিয়ে শাহ আলম গংরা আমাদের দীর্ঘ বছরের ভোগ দখলীয় সৃজিত পুকুর পাড়ের সীমানায় জমি দাবী করে ১৩ মে গোপনে পিলার গেড়ে দেয়। আমি গাছের কলা আনতে গিয়ে ঐ পিলার দেখে তা উপড়ে ফেলে দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহে আলম গংরা একইদিন আমাদের সৃজিত পুকুর পাড়ের ১৩টি রেন্ট্রি গাছের চারা কেটে ফেলে দেন।
এসময় আমি এবং আমার মেয়ে খাদিজা বেগম মুক্তা বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা আমাকে ও আমার মেয়েকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। তারা আমার ও আমার মেয়ের গলায় থাকা ২টি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। বর্তমানে তারা আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এতে আমি একা ঘরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি বিধবা নারী। আমার দুই ছেলে থাকলেও তারা বিদেশ প্রবাসী।

জমিদাতা সফিউল্যাহ মহাজন এবং আমিরুল ইসলামের ছেলে  নুরে আলম জানান, আমরা জীবন নেছা গংদের নিকট জমি বিক্রির পর দখল বুঝিয়ে দিয়েছি তারা সেখানে ভোগ দখলে আছেন। ২ বছর আগে পার্শ্ববর্তী ফারুক গংদের নিকট থেকে জমি কিনে পরিবারটির সাথে ঝামেলা করা অযৌক্তিক।
অভিযোগের বিষয়ে শাহে আলমের স্ত্রী ও ছেলে রাসেল জানান,সালিশরা আমাদেরকে জমি বুঝিয়ে দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তাই আমরা  উক্ত সীমানার মধ্যের গাছ কেটে ফেলে দিয়েছি।
শালিসের আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর ফরাজী বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সালিশ চলমান আছে। এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। কেউ ফিলার গাড়লে বা গাছ কেটে থাকলে তা ঠিক করেনি।
শশীভূষণ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান,জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। ্অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৮:৩৪   ৩০৭ বার পঠিত  |