বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

মনপুরায় লোকালয়ে হরিণের ছুটাছুটি

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মনপুরায় লোকালয়ে হরিণের ছুটাছুটি
বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮



---ছোটন সাহা ॥ভোলাবাণী।।
দুপুর ৩টায়, বনের পাশে জড়ো কয়েকটি হরিন। এদের মধ্যে কেউ খাবার খাচ্ছে কেউবা খাবারের সন্ধান করছে। অন্য পাশে দেখা গেলো ছুটে বেড়াচ্ছে বেশ কিছু হরিণ।
সবুজে ঘেরা নরম ঘাসে ছন্দ মিলিয়ে হরিনের এ ছুটে চল দেখা গেলো ভোলার মনপুরার আলমনগর সংলগ্ন কেওড়া বনে। এখানেই দেখা মেলে হরিণের ঝাক। প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন চিত্র মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।
তবে স্থানীয়রা জানালেন, খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসছে এসব হরিন। হরিনের এ বিচরন দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন দর্শণার্থীরা। মাঝে মধ্যে আবার শিকারিদের হাতে মারা পড়ছে এসব হরিন। এতে কমে গেছে হরিনের সংখ্যা।
বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষা জনপদ ভোলার মনপুরা উপজেলা। প্রাচীতম এ উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের আলমনগর রয়েছে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এখানে নানা প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। বনের সৌন্দয্য বাড়াতে বনে ছেড়ে দেয় হরিন। ৮০ দশক থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে সব মিলিয়ে মনপুরায় ২ হাজারের অধিক হরিন রয়েছে। শুধু আলমনগর নয়, ঢালচর, জনতা বাজার ও প্রজেক্ট এলাকায় দেখা মেলে হরিনের।
শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধা পর্যান্ত বনাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে বনের চারপাশে হরিনের বিচরন। দল বেধে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে হরিন। এসব হরিন দেখতে আসছেন মানুষ। খুব কাছ থেকে হরিন দেখে কেউ কেউ আবার ক্যামেরা বন্দি করছেন। ছোট বড় ও মাঝারি সাইকের চিত্রা প্রজাতির এ হরিনের ছুটে চলা মুগ্ধ করছেন দর্শনার্থীদের। হরিনের এ বিচরনকে কেন্দ্র সেখানে গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র।
স্থানীয় আবুল কালাম ও সোহাগ বলেন, মনপুরা প্রধান আকর্ষন হরিন। খুব কাছ থেকে হরিন দেখতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভীড় জমান। তবে চোরা শিকারীরা মাঝে মধ্যে হরিন হত্যা করে মাংস পাচার করছে। যে কারনে বনের হরিন অনিরাপদ।
স্থানীয়রা আরো জানান, বর্ষায় জোয়ারের পানি হরিনের বাসস্থান ডুবে গেলে এবং শীতে খাদ্য ও মিঠা পানির সংকট দেখা দিলে হরিন লোকালয়ে চলে আসে। তখন দলবেধে হরিনের ঝাক দেখা মেলে।
এ ব্যাপারে ভোলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, হরিন সংরক্ষনের লক্ষে ইতমধ্যে ২টি মিঠা পানির পুকুর তৈরী করা হয়েছে। আরো কিছু পুকুর স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা বরাদ্দ পেলে ওই কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, বনের খাদ্য সংকট দুর করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও যাতে হরিন শিকার না হয় সেদিকে বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:০০:২২   ৬৬০ বার পঠিত  |