রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

শিক্ষা জাতীয়করন হতেই হবে-ভোলায় বানিজ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শিক্ষা জাতীয়করন হতেই হবে-ভোলায় বানিজ্যমন্ত্রী
রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭



---স্টাফ রিপোর্টার ॥ভোলাবাণী।। বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহাম্মেদ বলেছেন, শিক্ষা জাতীয়করন হতেই হবে। এ পক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করতে হলে একটু সময়রে ব্যাপার মাত্র। বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে বর্তমানে শিক্ষকদের জন্য ১২৩ ভাগ বেতন ভাতা বৃদ্ধি করেছে। যে প্রধান শিক্ষক ১০ বছর আগেও ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা বেতন পেতেন, তারা এখন ২৯ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন, সামান্য কিছু দাবি দাওয়ার কারনে আপনারা আন্দোলন করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের এই সামান্য আবদারও বাস্তবায়ন করবেন। আগামী ৭ জানয়ারী মহান সংসদে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষনের পর আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আপনাদের পক্ষ হয়ে এই আবেদন করবো। ইনশায়াল্লাহ এটাও বাস্তবায়ন হবে। গতকাল রবিবার দুপুর ১ টার সময় ভোলার বাংলাস্কুল মাঠের শিক্ষক সমাবেশে বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহাম্মেদ প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আজকের এই সমাবেশে আমি রাজনৈতিক কোন বক্তব্য দিতে আসিনি। শিক্ষকরা আমার ছোট হলেও আমার কাছে খুব সম্মানিত ব্যাক্তিত্ব। স্বাধীনতার পর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যথন ভোলায় আসি, তখন আমি আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে জাতীর পিতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম, তখন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু আমাকে বলেছেন, আগে স্যারের পা’ছুয়ে সম্মান জানাও এবং দোয়া নেও। সেই থেকে আজও আমি আমার শিক্ষাগুরুদের দেখলে পা’ছুয়ে কদমমুছি করে শ্রদ্ধাকরি তার পর দোয়া নেই।

কই গেলো আমার সেই সোণালী দিন। এই কথা বলে মন্ত্রী কেঁদে ফেলেন। এবং তার শৈষব, কৈশর’র স্বৃতিকে সামনে এনে ভোলার শিক্ষক সমাজকে বলেন। রাজনীতি করতে এসেছি এদেশের জনগনের জন্য, যতদিন বেঁেচ থাকবো ভোলার মানুষের জন্য কাজ করে যাব। আমি যখন প্রথম নির্বাচন করি তখন কোন গাড়ী ছিলনা, ৯৭ ভাগ কুড়েঘর ছিল, ৯০ ভাগ মানুষ জুতা পায়ে দিতে পারতোনা। বিদ্যুত ছিলনা। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মেধা ও প্রগার মাধ্যমে দেশে কোন কুড়ে ঘর খুজে পাবেননা। ১’শত ভাগ মানুষ পায়ে জুতা পড়ে, আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে ভোলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌছে দেব। ২০১৯ সালের মধ্যে সারাদেশের মানুষ বিদ্যুত পাবে, কোন রাস্তাঘাট কাঁচা থাকবেনা।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্থায়িকমিটির সদস্য সংসদ আলী আজম মুকুল, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ নুরুন নবী চৌধুরী শাওন, ভোলার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, ভোলা পৌরসভার মেয়র মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব,

শিক্ষক নেতা মোঃ মোতাহার মিয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, ইকবাল হোসেন শাহিন, সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ভোলা। মোঃ জসিম উদ্দিন, অধ্যক্ষ ভাষা শহিদ স্বৃতি মহাবিদ্যালয় ভোলা, মোঃ মীর আমির হোসেন, সভাপতি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান) ভোলা সদর উপজেলা ভোলা, অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম ভোলা জেলা, মোঃ সাইদুল হাসান সেলিম, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম ভোলা জেলা, অধ্যক্ষ জাহান জেব আলম টিটু, আলতাজের রহমান কলেজ ভোলা, উপধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেরেছিন ভোলা, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক সভাপতি বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোরেরেছিন ভোলা জেলা, অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, সম্পাদক বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ভোলা জেলা, এসময় শিক্ষক নেতারা বেসরকারী শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয়করন সহ বিভিন্ন বৈশম্য দুরীকরন সহ মন্ত্রীর কাছে নানান দাবী উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৭:১৬   ৪১২ বার পঠিত  |