রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৭

তজুমদ্দিনে প্রাইমারী শিক্ষিকা ৫ বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত

প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন » তজুমদ্দিনে প্রাইমারী শিক্ষিকা ৫ বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত
রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৭



---।।ভোলাবাণী।। তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার বড় মলংচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগম প্রায় ৫ বছর যাবৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে বেতন ভাতা ভোগ করছেন। এ ব্যাপারে খোজ নিতে শনিবার স্কুলে গেলে ওই শিক্ষিকার অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি সহকর্মি শিক্ষকরা। কোন রকম প্রত্যায়ন বা মাসিক রিপোর্টও নেই তাদের কাছে। হাজিরা খাতায় লেখা আছে বোরহানউদ্দিনে ডেপুটেসনে। খোজ নিয়ে বোরহানউদ্দিন এধরনের কোন শিক্ষিকার হদিস পাওয়া যায়নি। মোবাইল নম্বার সংগ্রহ করে শিক্ষিকা নাজমার কাছে তার অবস্থান জানতে চাইলে দৌলতখান আছেন বলে জানান। কি ভাবে আছেন জানতে চাইলে ওই শিক্ষিকা বলেন, ২০১২ সালের আগস্ট থেকে দৌলতখানে ডেপুটেসনে আছি। ৩ বছর আগে উপজেলার বাহিরে ডেপুটেসন প্রথা বাতিল হলেও আপনি কি ভাবে আছেন জানতে চাইলে বলেন, তা আপনার জানার কি দরকার? অফিস ম্যানেজ করে আমাদের চলতে হয়। প্রতি মাসে কর্মস্থলে প্রতায়ন প্রত্র জমা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন ব্যাপারটি জানা নেই। ২০১৭ সালে প্রাইমারি সেক্টরে সকল রকম ডেপুটেসন প্রথা বাতিল হওয়া সত্তেও আপনি কি ভাবে বিল বেতন উত্তোলন করছেন জানতে চাইলে এসময় তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে তার স্বামী পরিচয়ে কামালউদ্দিন বলেন আপনি সাংবাদিক হোন আর যেই হোন আপনাকে এসব বলতে বাধ্য নই। আরো দুএকটি কথা বলে রাগ করে ফোন কেটে দেন। দু বছর দায়িত্বে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা ইন্দজিৎ বলেন ডেপুটেসন প্রথা বাতিল হলেও ওই শিক্ষিকাকে ফেরত আসেনি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সকল রকম ডেপুটেসন অর্ডার বন্ধ আছে।
তজুমদ্দিন উপজেলার শিক্ষক ও সচেতন মহলের প্রশ্ন নিয়ম না মেনে ডেপুটেসনে যাওয়া একজন শিক্ষক ডেপুটেসন অর্ডার বাতিল হওয়ার পরও কি ভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে বেতন ভাতা ভোগ করছেন?

বাংলাদেশ সময়: ১২:১৭:৫০   ৪৯৭ বার পঠিত  |