আইয়ামে বিজের রোজার গুরুত্ব

প্রথম পাতা » ইসলাম ও ধর্ম » আইয়ামে বিজের রোজার গুরুত্ব
সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭



---

।।ভোলাবাণী।। প্রত্যেক আরবি মাসের মধ্যবর্তী সময় তথা ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা রাখা সুন্নাত। এ রোজাকে আইয়ামে বিজের রোজাও বলা হয়।

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘সফর অথবা মুকিম’ সর্বাবস্থায় তিনি (আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫) এ তিনদিন রোজা পালন করতেন। কখনো আইয়ামে বিজের রোজা ভাঙ্গতেন না। (নাসাঈ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রোজা পালনে সাহাবাদের নির্দেশ দিতেন; তবে প্রিয়নবির এ নির্দেশে রোজা পালনে বাধ্যবাধকতা না থাকালেও তা ছিল মর্যাদাপূর্ণ নফল তথা অতিরিক্ত আমল।

হজরত মালেক বিন কুদামা বিন মালহান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন।

আইয়ামে বিজের রোজা পালনের কারণে মানুষের নৈতিক ও আত্মিক উন্নতি সাধিত হয়। এমনিতেই রোজা মানুষকে দুনিয়ার যাবতীয় পাপাচার থেকে মুক্ত রাখে।

সুতরাং কোনো মানুষ যদি প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের আইয়ামে বিজের রোজা পালন করে; স্বাভাবিকভাবেই তারা নিষ্কলুষ ও পাপমুক্ত জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠবে। চারিত্রিক উন্নতি লাভ করবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশ ও প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ নিয়মতি আমল ‘আইয়ামে বিজ’-এর রোজা পালনের তাওফিক দান করুন।

নৈতিক ও আত্মিক উন্নতি সাধনে আইয়ামে বিজ-এর রোজা পালনে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৩:০১   ২৪০ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ইসলাম ও ধর্ম’র আরও খবর


নারীরা যেভাবে ইতেকাফ করবেন
পবিত্র মাহে রমজানের ৮ সুন্নত
আল্লাহর যেসব হক আদায় করা মুমিনের কর্তব্য
তুরাগতীরে দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত
আতিথেয়তায় আল্লাহর অনুগ্রহ মিলে যেভাবে
লিবিয়ায় মুসলিম বিজয়ের ইতিহাস
আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী
কাদের জন্য ওমরাহ , এর ফজিলত ও কবুল হওয়ার শর্ত
ধর্মীয় সম্প্রীতির নতুন ভুবন: আমিরাতে একই কমপ্লেক্সে মসজিদ-গির্জা-সিনাগগ
পবিত্র হজ আজ লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাতের ময়দান

আর্কাইভ