লালমোহনের চরাঞ্চলে আষাঢ়ের প্রথমেই ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকদের

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » লালমোহনের চরাঞ্চলে আষাঢ়ের প্রথমেই ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকদের
শুক্রবার, ১৬ জুন ২০১৭



আমজাদ হোসেন, (লালমোহন প্রতিনিধি) ভোলাবাণী: ভোলার লালমোহনের চরাঞ্চল গুলোতে আষাঢ়ের প্রথমেই কৃষি জমি প্রস্তুতিতে ব্যস্ততা বেড়েছে স্হানীয় কৃষকদের।অনেকদিন তাদের ফসলের ক্ষেত চাষের অনুপযোগী ছিলো বৃষ্টির অভাবে।আষাঢ় মাস আসতেই প্রবল বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন তারা।উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের চর কচুয়াখালীর কৃষকদের মাঝে দেখা গেল একটু বাড়তি আনন্দ ও কাজের ব্যস্ততা।অনেকেই চাষের জমি প্রস্তুত করতে ব্যবহার করছেন ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার আর যাদের জমি কম তারা নিজেদের মহিশ বা গরুই একমাত্র মাধ্যম।

এখানকার কৃষক আনিচল হকের সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আমার নিজের মহিশ আছে তাই নিজের মহিশ দিয়েই জমি প্রস্তুত করছি।

এতে আমার বাড়তি খরচটা লাগছে না।খরচ কেমন বাঁচে জিজ্ঞেস ক রতেই বলেন এক কানি বা এক কাঠা জমি প্রস্তুত করতে তিন থেকে চারটি চাষ দিতে হয়।খরচ পড়ে ৪০০০/৫০০০ টাকা আর অন্যের ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দিলে এই বাড়তি টাকা লাগে সেখানে নিজের মহিশ দিয়ে চাষ দিলে এই টাকাটা লাগেনা এটা দিয়ে আমি বীজ বা সার কিনতে পারছি।আগে এখানে মহিশের সংখ্যা বেশি ছিলো এখন খুব কম।আমার আটটি মহিশ আছে।

এর মধ্যে গাভী আছে তিনটা,প্রতিদিন ৫/৬ লিটার দুধ পাই।দুধ বিক্রি করে সংসার চলে আপনাদের দোয়ায় এখানে খুব ভালো আছি।কিন্তু সমস্যাও হয় মাঝে মাঝে,আমরা প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে সব সময় লড়াই করে বেঁচে আছি,জোয়ার আসলে এখানে হাঁটু পরিমাণ পানিতে তলিয়ে যায় পুরো চরাঞ্চল।এখানে ভোলা-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এসব সাধারণ মানুষের দূরাবস্হার কথা ভেবে একটি সাইক্লোন সেল্টার,একটি মসজিদ এবং একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মক্তব নির্মাণ করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু ইউছুফ বলেন চরটি আমার ইউনিয়নেরই অংশ এখানকার শিশুদের কথা ভেবে তাদের লেখাপড়ার জন্য এমপি মহোদয়ের সহায়তায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ চলছে।এখানে খুব অচিরেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে।স্হানীয় আ’লীগ নেতা কবির সরদার বলেন আমরা এই চরে খুব অসহায় অবস্থায় থাকি।এখানে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুরই অভাব বোধ করেন চরের বাসিন্দারা।

এখানে নেই কোন ফার্মেসী বা ডাক্তারের সু ব্যবস্থা।কারো কোন সমস্যা বা কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে ট্রলারে করে তিন চার ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে গজারিয়া বা লালমোহন হাসপাতালে নিতে হয়।আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে আমাদের সকল সমস্যা বিশেষ করে অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিত্সার জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করে দেন।

চরের অনেকেই কৃষি কাজ আবার কেউবা নদীতে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত।এখানের মহিশের দধি ভোলার ঐতিহ্যকে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০:০৯:৫৩   ২৩২ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি ॥
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
এ কে ফজলুল হককে কেন ‘শেরে বাংলা’ বলা হয়?
জাতীয় পর্যায়ের লোকনৃত্য প্রতিযোগীতায় ভোলার মেয়ে স্বস্তিকার ২য় স্থান অর্জন
ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
দেশ ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কংগ্রেস: নরেন্দ্র মোদি

আর্কাইভ