শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ কে ফজলুল হককে কেন ‘শেরে বাংলা’ বলা হয়?

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » এ কে ফজলুল হককে কেন ‘শেরে বাংলা’ বলা হয়?
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪



 

 

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক

ভোলাবাণী ডেক্স।। শুধু বাংলা নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে একে ফজলুল হক এক অবিস্মরণীয় নাম। একে ফজলুল হকের পুরো নাম আবুল কাশেম ফজলুল হক। তিনি ছিলেন কলকাতা করপোশনের প্রথম বাঙালি মুসলমান, বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পূর্বপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, পুর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রবল সাহস, প্রবাদতুল্য দানশীলতা, তুলনারহিত স্মৃতিশক্তি, ঋজু দীর্ঘদেহ, ভরাট জলদ গম্ভীর কণ্ঠস্বর তাকে রীতিমত কিংবদন্তী চরিত্রে পরিণত করেছে। তাকে নিয়ে রচিত হয়েছে আশ্চর্য সব গল্পকাহিনি। এর কিছু সত্য কিছু সাধারণ মানুষ ভালোবেসে রচনা করেছে মনের মাধুরী মিশিয়ে।

এ কে ফজলুল হক ছিলেন ফটোগ্রাফিক মেমরির অধিকারী। একবার যা পড়তেন বা দেখতেন বা শুনতেন তা কখনও ভুলতেন না। শোনা যায়, শিশু ফজলুল হক এক বই দুইবার পড়তেন না। তাই ছেলেবেলায় যে পড়া হয়ে যেত তা নাকি ছিঁড়ে ফেলতেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘদেহী। যেমন দৈর্ঘ্যে তেমনি প্রস্থে। গায়ে ছিল প্রচণ্ড শক্তি। এক কিলে নারিকেল ছিলতে পারতেন, মুখের ভেতর পুরে দিতেন আস্ত আম। বাজারের সবচেয়ে বড় কাঁঠাল শেষ করতেও তার দ্বিতীয়জনের প্রয়োজন হতো না। এসব কারণেই প্রচলিত হয়েছে, খালি হাতে একবার বাঘ শিকার করেছিলেন বলেই নাকি তার নামের আগে যুক্ত হয়ে যায় ‘শের-ই-বাংলা’। কিন্তু তা সত্য নয়।

আবুল কাশেম ফজলুল হক বাগ্মী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। ১৯১৬ সালে লক্ষ্ণৌ শহরে লীগ কংগ্রেসের যুক্ত অধিবেশনে তিনি যে প্রস্তাব উত্থাপন করেন, তাই বিখ্যাত ‘লক্ষ্ণৌ চুক্তি’ নামে অভিহিত হয়। ১৯১৮ সালে ফজলুল হক লিখিত ভারত মুসলিম লীগের দিল্লী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সেখানে সভাপতি হিসেবে তার দেওয়া ভাষণ ইতিহাসের এক স্বর্ণ অধ্যায় হয়ে রয়েছে। ১৯৪০ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে লাহোরে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশনে জ্বালাময়ী বক্তৃতায় প্রথম পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করেন। তার বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে পাঞ্জাববাসীরা তাকে ‘শের-ই-বঙ্গাল’ উপাধি দেয়। ‘শের-ই-বঙ্গাল’ অর্থ বাংলার বাঘ। সেই থেকে তিনি শেরে বাংলা নামে পরিচিত। তিনি জীবনে আরো অনেক উপাধি পেয়েছেন। ১৯৫৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানী

শেরে বাংলা’র বাংলা ‘বাংলার বাঘ’ হলেও একে ফজলুল হককে বাংলার বাঘ বলা সমীচীন হবে না কারণ এটি উপমহাদেশের আরেক কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উপাধি।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৪:৩১   ৪২ বার পঠিত  |