, মোঃমনছুর আলম।।ভোলাবাণী।।
ডাক্তার ও নার্স সংকটে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। দীর্ঘদিন যাবত ডাক্তার ও নার্স সংকটে থাকলেও ব্যবস্থা নিতে অক্ষম কতৃপক্ষ।নতুন ভবনের যন্ত্রপাতি প্রায় বিকল হয়ে পরেছে। চিকিৎসার জন্য চালু হয়েও কর্যক্রম করতে পারছে না আধুনিক সাত তলা ভবনটি। ফলে দীর্ঘদিন পড়ে থেকে অযতে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতিসহ সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। পুরাতন ভবনে শয্যা সংকটসহ নেই কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি নানা সমস্যায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা, ভোগান্তিতে স্বজনরা। নতুন ভবনের ডাক্তার ও নার্স সংকটের কারনে ভোগান্তিতে রোগিরা, কবে ডাক্তার ও নার্স পরিপূর্ণ হবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সুস্পষ্টভাবে কিছুই বলতে পারছে না।এই পযন্ত একাধিকবার শীঘ্রই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও উর্ধতন কর্মকর্তারা সমাধান দিতে ব্যর্থ।
২০১৩ সালের মে মাসে ৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে দৃষ্টিনন্দন আধুনিক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সাত তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ভবনটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে গণপূর্ত বিভাগ। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সাত তলা এই ভবনটিতে আইসিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, মেডিক্যাল গ্যাস সিস্টেম, লিফট ও সিসি ক্যামেরাসহ রয়েছে চিকিৎসা সেবার সব রকমের আধুনিক সুবিধা। কিন্তু ডাক্তার ও নার্স সংকটের কারনে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ রােগিরা। নতুন ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও চালু করতে পারেনি আধুনিক যন্ত্রপাতি গুলো। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা চিকিৎসা সরঞ্জাম, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মেশিনপত্র ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতিসহ সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ অযতে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভবনের প্রতিটি তলা ও কক্ষে, ময়লা আবর্জনা আর ধুলাবালির আস্তরে পরিণত হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ করার আগেই আবার মেরামতের মতো অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
এদিকে ২৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেও বর্তমানে নেই কোন ভালো মানের ডাক্তার, হাসপাতালটির কার্যক্রম চলছে পুরনো ১০০ শয্যা ভবনে। ফলে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী থাকায় শয্যা সংকটে অনেকে মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। ডাক্তার ও নার্স সহ জনবল সংকটে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগী এবং স্বজনরা। ভোলা সদর হাসপাতালে ডাক্তার ৫৮ জনের কোটায় ডাক্তার আছে ২৪ জন,নার্স ৮০ জনের কোঠায় আছে ৪৫ জন ডাক্তার ও নার্স সংকটের কারনে প্রতি নিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারন রোগীরা।
নবনির্মিত আধুনিক ভবনটিতে ডাক্তার ও নার্স সংকটে না থাকলে, জেলার ৭ উপজেলার মানুষ চিকিৎসা সেবার জন্য ঢাকা-বরিশাল কষ্ট করে না গিয়ে ভোলাতেই সঠিক চিকিৎসা সেবা পাবেন বলে মনে করছেন।
রোগীর স্বজন মোঃহাসান বলেন, আমাদের ভোলায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যে হাসপাতাল রয়েছে এখানে আসলে বেডের অভাবে আমাদের নিচে বিছানা করতে হয়। আধুনিকায়ন হসপিটালের সাত তলা ভবন যেখানে অক্সিজেন আইসিইউ-সিসিইউসহ সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। কিন্তু ভবনটি চিকিৎসক সংকটের কারনে ভোগান্তি আছে ভোলার প্রায় বিশ লক্ষ মানুষ।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা: কে এম শফিকুজ্জামান দৈনিক দেশের কন্ঠকে জানন,ডাক্তার ও নার্স সংকট দূর করার জন্য তার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মনিরুল ইসলাম বলেন ডাক্তার ও নার্স সংকটে আছে ভোলা সদর হাসপাতাল।ডাক্তার ও নার্স সংকটের কারনে আধুনিক ভবনটি উদ্বোধন করলেও ঠিক মতো চিকিৎসা দিতে পারছে না।তার পরেও সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। খুব শীঘ্রই সমস্যাসমাধানের হবে বলে আশ্বাসও দিলেন হাসপাতালের প্রধান এই কর্মকর্তা।
যত দ্রুত সম্ভব নতুন ২৫০ শয্যা আধুনিক ভবনটির ডাক্তার ও নার্স সংকট দূর হলে ভোলা জেলার ২১ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবায় নতুন দ্বার উন্মোচন হবে বলে মনে করছেন ভোলাবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৩১:২৫ ১৩৬ বার পঠিত |
