বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

হিমসিমে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ভোলার কাঁচা বাজার

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হিমসিমে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ভোলার কাঁচা বাজার
বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩



মোঃমনছুর আলম।।ভোলাবাণী।।

প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ভোলার কাঁচা বাজার। সরকার আলুর দাম পাইকারি ২৬ থেকে ২৭ টাকা খুচরা ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ও পেয়াজ পাইকারি ৫৫ টাকা খুচরা বাজারে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারন করলেও তা নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ প্রশাসন। সরকারের আইনকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে বর্তমানে ভোলায় খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পেয়াজ বিক্রি হয় ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, বর্তমানে এখন সবজির সৃজন হলেও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে সবজির দাম। দেশি ছিম ১৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, বটবটি ১০০ টাকা, কাচা মরিচ ১৬০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, আকরি ৭০ টাকা,পাতা কপি ৭০ টাকা, ফুল কপি ৬০ টাকা, যা সাধারণ মানুষ কিনে খাওয়া অসম্ভব।

প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ভোলার কাঁচা বাজার

অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় বরিশাল ও ভোলায় কাঁচা বাজারের দাম আকাশ পাতাল ব্যবধান,বরিশালে পাতা কপি খুচরা বাজারে ২০ টাকা কেজি,ফুল কপি ২০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, করল্লা ৪০ টাকা, বটবটি ৬০ টাকা, সিম ৮০ টাকা করে খুচরা বাজারে বিক্রি করে।বাজার করতে এসে অনেকটা হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ, এব্যপারে শিপন,মনির কবির,হাসান, রহমান, মহিউদ্দিন, মুক্তা,নাজমা,সোনিয়া, রাবেয়া সহ অনেক ভুক্তভোগীরা জানায়, আমরা মাছ মাংস কিনার সমর্থ অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি এখন দেখা যায় শাক সবজি কিনার সমর্থও হারিয়ে যাবে তাইলে সাধারণ মানুষ কি খেয়ে বাচবে।

দ্রব্য মূল্য উর্ধগতি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে একাধিক ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান কাঁচা বাজার সেন্ডিকেট কারী ৩ /৪ জন। এদের বাহিরে কোন ব্যবসায়ী চলতে পারেনা ।এরা কাঁচা বাজার এনে সব দোকানে দেয় এরাই বাজার মূল্য নির্ধারণ করে। এদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখাতে না পারলে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা অসম্ভব।

ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান,  জানান, সরকার যে রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চাইতে বেশি বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, এর ফলে দ্রব্য মূল্য উর্ধগতি হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।তাই যারা সেন্ডিকেট করে শাক সবজির দাম বেশি নেয় তাদেরকে চিন্হিত করে ভোক্তা অধিকার আইনে অধিকার আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোলার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, মোস্তফা সোহেল  জানান, সরকার আলু পাইকারি বাজার নির্ধারন করে ২৫ থেকে ২৭ টাকা আর দেশি পেয়াজ পাইকারি ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, খুচরা বাজারে বিক্রি হবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্য মূল্য উর্ধগতিতে বেচার কারনে বাজারে দাম অনেক বেশি, তবে মূল্য বেশি রাখার কারনে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং চলছে এবং গত ৩০/১০/২৩ তারিখে পেয়াজের দাম বেশি রাখায় , ভ্রাম্যমান আদালতে আলাউদ্দিনকে ৫০০০ হাজার ও আকরামকে ৩০০০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম, তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত মনিটরিং চলবে,তবে ভুক্তভোগীদে অভিযোগ জরিমানা করেও কাঁচা বাজার নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ প্রশাসন।

দ্রব্য মূল্য উর্ধগতি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ভোলা, জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান, জানান,সরকার যে খুচরা মূল্য নির্ধারন করেছে এর বাহিরে বেচার কোন সুযোগ নেই,সেন্ডিকেট করে যারা সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চাইতে বেশি দামে বিক্রি করে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫১:৫৯   ৮৮ বার পঠিত  |