মেঘনা তেতুলিয়ায় ভরা মৌসুমে দেখা নেই ইলিশের

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মেঘনা তেতুলিয়ায় ভরা মৌসুমে দেখা নেই ইলিশের
শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩



ইব্রাহিম আকতার আকাশ।।ভোলাবাণী

ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে । অথচ ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর অভয়াশ্রমে পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত রুপালি ইলিশ। নদী থেকে আশাহত  হয়ে ফিরছেন জেলেরা। ফলে মেঘনা তেঁতুলিয়াপাড়ের আড়তগুলোতে নেই চিরচেনা হাঁকডাক। চিন্তার ভাঁজ আড়তদার আর এনজিও থেকে ঋণ নেওয়া জেলেদের কপালে ।

মেঘনা তেতুলিয়ায় ভরা মৌসুমে দেখা নেই ইলিশের

ভোলার জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে দিনরাত মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী চষে বেড়াচ্ছেন। ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত জাল ফেলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না। উঠছে না খরচের টাকাও। এতে তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন।নদীতে অসংখ্য ডুবোচর, নাব্যতা সংকট, উজানের প্রবাহ কম থাকা এবং বৃষ্টি কম হওয়ায় নদীতে পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়া ও উজানে পাহাড়ি ঢল না থাকায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে এখনও কাঙ্ক্ষিত রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে না বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ ও জেলেরা।

তারা বলছেন, আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস পুরো ইলিশের মৌসুম। প্রতিবছর এ সময়ে ইলিশ বেচাকেনায় দৌড়ঝাঁপ থাকত। অথচ এবার ঘাটগুলোতে তার পুরোটাই বিপরীত চিত্র।

সরেজমিন ভোলা সদরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী ইলিশা ঘাট, রাজাপুর, কাচিয়া, ধনিয়া, তুলাতুলির জেলেপল্লী ঘুরে দেখা গেছে, দলবদ্ধভাবে নদীতে ইলিশ ধরতে গিয়েও খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা। আর যে পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন, তা দিয়ে তাদের নৌকার জ্বালানি খরচও উঠছে না। ফলে দৈনন্দিন সাংসারিক খরচ মেটাতে গিয়ে নতুন করে জেলেরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।

জেলেপাড়ার আব্দুল জলিল বলেন, ‘এই সময়টায় নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যেত, কিন্তু এখন যে মাছ পাওয়া যায়, তা দিয়ে আমাদের মাঝি-মাল্লার নৌকার খরচও ওঠে না। ঋণ আর ধারদেনা নিয়ে আমরা আছি হতাশায়।’

ঘাটের আড়তদার আঃখালেক মাঝি বলেন, ‘ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ শিকারের আশায় প্রতিদিনই জাল, নৌকা, ট্রলার ও বরফ নিয়ে দলবেঁধে নদীতে পাঠাচ্ছি জেলেদের। কিন্তু তারা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে ফিরে আসছেন। নদীতে মাছ নেই। আমাদের ব্যবসাও নেই। চরম বিপাকে আছি আমরা।’

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ  বলেন, ‘নদীতে ডুবোচরের কারণে পানির গভীরতা কম থাকায় সাগর থেকে ইলিশ নদীতে আসতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণেই নদীতে ইলিশ সংকট রয়েছে। তবে নদীতে পানি বাড়লে ও ভারি বৃষ্টি হলে জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাবে বলে আমরা আশাবাদী।

তিনি আরও বলেন, ‘জেলায় প্রায় দুই লাখ জেলের মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লাখ ৫৮ হাজার। ইতোমধ্যে এদের বিশেষ ভিজিএফের আওতায় আনা হয়েছে। দেশের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ আহরিত হয় ভোলা জেলা থেকে।’

বাংলাদেশ সময়: ৯:৪২:১৪   ১৩০ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি ॥
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
এ কে ফজলুল হককে কেন ‘শেরে বাংলা’ বলা হয়?
জাতীয় পর্যায়ের লোকনৃত্য প্রতিযোগীতায় ভোলার মেয়ে স্বস্তিকার ২য় স্থান অর্জন
ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ
দেশ ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কংগ্রেস: নরেন্দ্র মোদি

আর্কাইভ