শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

চরফ্যাশনে প্রতি কেন্দ্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিসি ক্যামেরার দাবী স্বতন্ত্র প্রার্থীর

প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে প্রতি কেন্দ্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিসি ক্যামেরার দাবী স্বতন্ত্র প্রার্থীর
শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২



চরফ্যাশন অফিস॥ভোলাবাণী।। চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীক মোল্লা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী অফিস বন্ধ এবং নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়োজিত তার কর্মীদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো.হোসেন মিয়ার ভাগিনা জাহাঙ্গীর কাজী ও বহিরাগত ক্যাডারদের বিরুদ্ধে।
চেয়ারম্যান পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোল্লা আবুল কালাম আজাদ শনিবার  আইনশৃঙ্খলা তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট এঅভিযোগ করেছেন।

চরফ্যাশনে প্রতি কেন্দ্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিসি ক্যামেরার দাবী স্বতন্ত্র প্রার্থীর

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোল্লা আবুল কালাম আজাদের লিখিত অভিযোগ এবং তার ভাষ্যমতে, তার মনোনয়ন পত্র বাতিলের পর তিনি মহামান্য হাইকোট থেকে রায় পেয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো.হোসেন মিয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও মহামান্য আদালত মোল্লা আবুল কালাম আজাদের পক্ষে দেয়া রায় বহাল রাখেন।   প্রচারণার শুরু থেকেই হোসেন মিয়ার ছেলে হারুন, ভাগিনা জাহাঙ্গীর কাজী বহিরাগত লোক নিয়ে  প্রতিনিয়ত আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিস বন্ধ করণসহ নির্বাচনী কর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছে। গতকাল শনিবার সকালে চকবাজারে স্থাপনকৃত তার নির্বাচনী অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তালাবদ্দ করার আগে তারা অফিসে ঢুকে নির্বাচনী পোষ্টার ছিড়ে ফেলেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে অফিসটি তালাবদ্দ পাওয়া যায়। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে রহিম নামের জনৈক ব্যাক্তি ওই তালা খুলে দেন। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে,রহিম নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হোসেন মিয়ার কর্মী।
এঘটনার পর গতকাল বিকেলেই আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, তার জনপ্রিয়তা দেখে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো.হোসেনের নির্দেশে তার কর্মীরা মারমুখি আচরণ করছেন। মাঠে গণসংযোগকারী নারী-পুরুষদেরকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে নির্বাচনী প্রচারণায় না যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এপরিস্থিতিতে তিনি সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য নির্বাচন কমিশনে দাবী জানিয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. হোসেন মিয়া মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানাযায়নি। তবে তার ভাগিনা মো.জাহাঙ্গীর অভিযোগ অস্বিকার করে বলেছেন, আমার এবং আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভূয়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আবদুল মতিন খান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য ’ ২৯ডিসেম্বর এইউনিয়নসহ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২২:২৫   ৯২ বার পঠিত  |